নয়াদিল্লি : প্রয়াত সুর-সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর। বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।  করোনা আক্রান্ত হওয়ায় গত ১১ জানুয়ারি তাঁকে মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নিউমোনিয়াতেও আক্রান্ত হন নবতিপর শিল্পী। তারপর থেকে ছিলেন ICU-তেই।প্রায় একমাস ধরে হাসপাতালে চলেছে লড়াই। গতকাল শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাখা হয় ভেন্টিলেশনে। শেষপর্যন্ত নিভে গেল জীবন-দীপ।


তাঁ মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ দেশ।  প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শোকপ্রকাশ করে বলেছেন, ' আমি ব্যথিত, ভাষায় ব্যক্ত করতে পারব না। দয়াময়ী লতা দিদি আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন। তিনি আমাদের দেশে একটি শূন্যস্থান রেখে গেলেন, যা পূরণ করা যাবে না। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তাঁকে ভারতীয় সংস্কৃতির একজন অনন্য ব্যক্তিত্ব হিসেবে মনে রাখবে, সুরেলা কণ্ঠ দিয়ে মানুষকে মন্ত্রমুগ্ধ করার এক অতুলনীয় ক্ষমতা ছিল তাঁর।' , ট্যুইটারে লিখলেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি আরও লেখেন, লতা দিদির গলায় বিভিন্ন আবেগ ফুটে উঠেছে। ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতের পরিবর্তনের ধারাকে তিনি কাছ থেকে দেখেছেন। তিনি ভারতের উন্নয়নের ব্যাপারে সদা আগ্রহী ছিলেন। তিনি লেখেন, লতা মঙ্গেশকরের প্রয়াণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ট্যুইট, লতা দিদির কাছ থেকে যে অগাধ স্নেহ পেয়েছি, তা আমার কাছে সম্মান। ওঁর সঙ্গে যোগাযোগের স্মৃতি অবিস্মরণীয়। গোটা দেশের সঙ্গে আমিও লতা দিদির প্রয়াণে শোকাহত। ওঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে সমবেদনা জানিয়েছি। ওঁ শান্তি। 







রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে ট্যুইটারে লিখেছেন,
লতাজির মৃত্যু গোটা বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মানুষের মতো আমার কাছেও হৃদয়-বিদারক। তাঁর গানের বিস্তৃত পরিসরে ভারতের সৌন্দর্য প্রকাশ পেয়েছে।