নয়াদিল্লি: ৩ জানুয়ারি থেকে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের টিকাকরণ শুরু হবে। আজ জাতির উদ্দেশে ভাষণে এই ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি আরও বলেন, সতর্কতামূলক ডোজ পাবেন ষাটোর্ধ্ব স্বাস্থ্যকর্মী ও করোনাযোদ্ধারা। ১০ জানুয়ারি থেকে চিকিৎসকদের পরামর্শের ভিত্তিতে ষাটোর্ধ্বদের জন্য করোনার প্রিকশন ডোজ চালু হবে।
‘বিশ্বের অনেক দেশে ওমিক্রনের সংক্রমণ বাড়ছে। ভারতেও বেশ কয়েকজন ওমিক্রন আক্রান্ত। ওমিক্রন নিয়ে অযথা ভয় পাবেন না, কিন্তু সতর্ক থাকবেন। এই সময় সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। দেশে এই মুহূর্তে ১৮ লক্ষ আইসোলেশন বেড আছে। ১ লক্ষ ৪০ হাজার আইসিইউ বেড আছে দেশে। সবাইকে কোভিড বিধি মানতে হবে। ৬১ শতাংশের বেশি ভারতবাসী ভ্যাকসিনের ডাবল ডোজ পেয়েছেন। ৯০ শতাংশের বেশি প্রাপ্তবয়স্ক ভারতবাসী প্রথম ডোজ পেয়েছেন। দেশে খুব দ্রুত ন্যাজাল ভ্যাকসিন, ডিএনএ ভ্যাকসিন আসবে। গত ১১ মাস ধরে ভারতে ভ্যাকসিনেশনের প্রক্রিয়া চলছে। করোনা কিন্তু এখনও যায়নি, তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে চিকিৎসক কুণাল সরকার বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এখনও বিজ্ঞানের দাঁড়িপাল্লায় মেপে বলতে পারব না, বাচ্চাদের ভ্যাকসিনেশনের কতটা বাড়তি সুবিধা পাওয়া যায়, কিন্তু এটুকু আমরা বিশ্বাস রাখছি, অতিমারীর শেষপর্বে আমরা চাইছি, স্কুল-কলেজ খুলুক। বাবা-মায়েরাও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সাবলীলভাবে স্কুলে ফিরিয়ে দিক। সবমিলিয়ে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের ভ্যাকসিনেশন প্রয়োজনীয় ছিল। স্বাস্থ্যকর্মী এবং ষাটোর্ধ্বদের জন্য প্রধানমন্ত্রী যে বুস্টার ডোজের কথা বললেন, তাতে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে, কোন ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। কারণ, ভারতে কোভিশিল্ডের সাপ্লাই যথেষ্ট আছে। কোভ্যাকসিনের সাপ্লাই সত্যিই বেড়েছে কি না আমরা জানি না। তাহলে আমাদের যদি বাচ্চাদের ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে যদি শুধু কোভ্যাকসিনের উপর নির্ভর করতে হয়, তাহলে প্রশ্ন উঠবে, আমাদের হাতে যথেষ্ট কোভ্যাকসিন আছে কি না। যাই হোক, আমরা দুটো ঘোষণাকেই স্বাগত জানাচ্ছি।’