নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট হ্যাক। গোটা বিষয়টি স্বীকার করে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে ট্যুইট করে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট কিছু সময়ের জন্য হ্যাক করা হয়েছিল। ট্যুইটার কর্তৃপক্ষকে জানানোর সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সুরক্ষিত করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট।


ওই সময়ে কোনও বার্তা গেলে তা উপেক্ষা করুন, প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয় ট্যুইট করে।



উল্লেখ্য, সোশ্যাল মিডিয়াতে খুবই সক্রিয় থাকেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। মাঝেমধ্যই বিভিন্ন বিষয়ে ট্যুইট করে বার্তা দিয়ে থাকেন তিনি। এখন দেখা গেল, খোদ প্রধানমন্ত্রীর ট্যুইটার অ্যাকাউন্টেও সিঁধ কাটতে পারছে হ্যাকাররা। শনিবার গভীর রাতে প্রধানমন্ত্রীর ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট কিছু সময়ের জন্য হ্যাক করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর ট্যুইটার অ্যাকাউন্টকে নিশানা করে সেটিকে হ্যাক করে কিছু ট্যুইট করা হয়। যেখানে বিটকয়েনকে আইনি স্বীকৃতি দানের কথা বলা হয়। ১২ ডিসেম্বর রাত ২ টো নাগাদ প্রধানমন্ত্রীর অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা হয়।


যদিও প্রধানমন্ত্রীর ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ার পর করা প্রথম ট্যুইট  কয়েক মিনিটের মধ্যেই ডিলিট করা হয় এবং ফের একই ট্যুইট দ্বিতীয়বার করা হয়। সেই ট্যুইটকেও সরিয়ে নেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের পক্ষ থেকে ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার কথা জানানো হয়।


পিএমও-র পক্ষ থেকে ট্যুইট করে জানানো হয় যে, প্রধানমন্ত্রীর ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য হ্যাক করা হয়েছিল। ঘটনার কথা ট্যুইটার কর্তৃপক্ষকে সঙ্গে সঙ্গে জানানো হয় এবং অবিলম্বে প্রধানমন্ত্রীর ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত করা হয়। সেইসঙ্গে পিএমও-র ট্যুইটে জানানো হয় যে,  হ্যাক হয়ে থাকার সময়ে ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করা সমস্ত ট্যুইট উপেক্ষা করুন।


সূত্রের খবর, ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনলজি মন্ত্রকের ইন্ডিয়ান কম্পিউটার এমার্জেন্সি রেসপোন্স টিম (সিইআরটি-ইন) বিষয়টি নিয়ে তৎপর হয়েছে এবং হ্যাকিংয়ের ঘটনার উৎস চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে। এ জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।