গোরক্ষপুর: ভোটমুখী উত্তরপ্রদেশে নয়া প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।  উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের জেলা গোরক্ষপুরে ৮,৬০৩ কোটি টাকার একটি সার তৈরির কারখানা উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী। সেইসঙ্গে ১,০১১ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস (এমস) এবং ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ-গোরক্ষপুর রিজিওনাল মেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টার (আইসিএমআর-আরএমআরসি)-র একটি অত্যাধুনিক ল্যাবেরও উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী। 


গোরক্ষপুরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়েছেন যোগী আদিত্যনাথ। উন্নয়ন প্রকল্পের সূচনার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়ে যোগী বলেছেন, মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায় (মোদি থাকলে সম্ভব)।


উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দীবেন পটেল। এর আগে প্রধানমন্ত্রী এদিন  গোরক্ষপুরে উন্নয়নমূলক প্রকল্পের প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন।


উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, আজকের এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান যেন রাজ্যে পূর্বাঞ্চলের মানুষের কাছে স্বপ্ন পূরণের মতো। বিরোধীদের কাছে যা ছিল অসম্ভব। গত ত্রিশ বছরে উত্তরপ্রদেশে পাঁচটি সরকার এসেছে, গিয়েছে। শুধমাত্র বিজেপি সরকারই গোরক্ষপুরে সার কারখানা শুরু করার সাহস দেখিয়েছে।


প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যানাথ সরকারের প্রশংসা করেছেন বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের উদ্য়োগ গ্রহণের জন্য। তিনি বলেছেন, গোরক্ষপুরে সার কারখানা ও এমস একসঙ্গে অনেক বার্তা দিয়েছে। ডবল ইঞ্জিন সরকার থাকলে কাজ দ্বিগুণ গতিতে হয়। সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করলে কোনও বিপর্যয়ই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। 


প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ২০১৪ সালের আগে ইউরিয়ার অভাব সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে চলে আসত। আমরা ইউরিয়ার অপব্যবহার বন্ধ করেছি। ১০০ শতাংশ নিম কোটিং নিশ্চিত করেছি। আমরা কোটি কোটি কৃষকদের সয়েল হেল্থ কার্ড দিয়েছি। যাতে তাঁরা জানতে পারেন, কোনও ধরনের সার তাঁদের জমির প্রয়োজন হয়। আমরা ইউরিয়ার উৎপাদনে জোর দিয়েছি।


বিরোধীদের কটাক্ষ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যাঁরা প্রকল্প উদ্বোধনের সময় নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, তাঁরা কঠোর পরিশ্রম ও এ ধরনের প্রকল্প স্থাপনে কত সময় লাগে, তা বুঝতে পারেন না। ওই ধরনের লোকজন বুঝতে পারবেন না যে, করোনা সংকটের সময়ও ডবল ইঞ্জিন সরকার উন্নয়নের কাজ অব্যাহত রেখেছে। নাম না করে সমাজবাদী পার্টিকে কটাক্ষ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যাঁরা লাল টুপি পরেন, তাঁরা রাজ্যের পক্ষে লাল সতর্কতা, রাজ্যের পক্ষে বিপজ্জনক।