নয়াদিল্লি: শুধু পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করবেন নাকি, নিজেই কংগ্রেসে (Congress) যোগ দেবেন, গত কয়েক দিন ধরেই তাঁকে নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। সেই পরিস্থিতিতে ফের কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর (Sonia Gandhi) সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor)। একাধিক রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন এবং ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন নিয়ে আলোচনা এবং কৌশল রচনার্থে দু’জনের মধ্যে কথা হয় বলে জানা গিয়েছে। গত তিন দিনে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার সনিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন পিকে। সম্প্রতি কংগ্রেস নেতৃত্বের সামনে তিনি একটি নীল নকশা তুলে ধরেছিলেন। খুব শীঘ্র তাতে সিলমোহর পড়তে চলেছে বলে দলীয় সূত্রে খবর।


গত তিন দিনে দু'বার সনিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ পিকে-র


এর আগে ১০ নম্বর জনপথে সনিয়া, রাহুল গাঁধী, কেসি বেণুগোপালের উপস্থিতিতেই দু’পক্ষের মধ্যে বৈঠক হয়। মূলত ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখেই এই বৈঠক বলে জানা গিয়েছে। তবে এ বছরের শেষ নাগাদ হতে চলা গুজরাত, হিমাচলপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন এবং আগামী বছরের কর্নাটক, ছত্তীশগড়, মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থান বিধানসভা নির্বাচনেও কংগ্রেসকে চাঙ্গা করার পরিকল্পনা নিয়ে এগনো হচ্ছে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই।


সোমবারের বৈঠকে সনিয়ার পাশাপাশি, প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা, বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা মুকুল ওয়াসনিক, রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা, কেসি বেণুগোপাল এবং অম্বিকা সোনিও উপস্থিত ছিলেন। সপ্তাহখানেকের মধ্যেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা যাবে বলে দলীয় সূত্রে খবর।


আরও পড়ুন: Lakhimpur Kheri Case: লখিমপুর খেরিতে গাড়ি চাপা দিয়ে কৃষক হত্যার ঘটনায় আশিস মিশ্রের জামিন খারিজ


অন্য দিকে, পরবর্তী লোকসভা নির্বাচনে গাঁটছড়া বাঁধা নিয়ে কংগ্রেস নেতৃত্বকে পিকে এপ্রিল মাস পর্যন্তই সময় দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, কংগ্রেসের সামনে ৩৭০ আসনের লক্ষ্য রেখেছেন পিকে। উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ওড়িশায় কংগ্রেসকে একলা চলো নীতি নিয়ে এগনোর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্রে আবার জোটের সঙ্গে চলার পক্ষে পিকে। তাতে রাহুলের সম্মতি মিলেছে ইতিমধ্যেই।


কংগ্রেস-পিকে সমঝোতা নিয়ে শীঘ্রই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে


এর আগেও, একাধিক বার পিকে-র সঙ্গে কংগ্রেসের গাঁটছড়ায় সিলমোহর পড়তে পড়তেও শেষ মুহূর্তে ভেস্তে গিয়েছে আলোচনা। কোথাও পিকে-র নীতি-নিয়ম পছন্দ হয়নি কংগ্রেস নেতৃত্বের, কোথাও আবার রাজ্যস্তরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, জগনমোহন রেড্ডি, কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের সঙ্গে পিকে-র সমঝোতায় স্বার্থ সংঘাতের ইঙ্গিত দেখতে পান কংগ্রেস নেতৃত্ব। সেই সব পিছনে ফেলেই নতুন করে দু’পক্ষের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে।