নয়াদিল্লি : কোভিডে অভিভাবকহীন শিশুদের জন্য পিএম কেয়ার্স তহবিল থেকে অর্থসাহায্যের প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারকে খোঁচা দিলেন প্রশান্ত কিশোর। প্রাক্তন ভোট কুশলীর খোঁচার সুরে বলেছেন, 'সত্যিই মাস্টারস্ট্রোক। কোভিড বিপর্যয় সামলাতে চরম ব্যর্থ হওয়ার পর সমবেদনার নামে ফের একবার প্রতিশ্রুতির ফানুস'।
শনিবার কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কোভিডে যে শিশুরা তাদের দুই অভিভাবককেই হারিয়েছে তাদের পড়াশোনার দায়িত্ব নেবে সরকার। ১৮ বছর বয়স হলে দেওয়া হলে মাসিক স্টাইপেন্ড। ২৩ বছর বয়স হলে দেওয়া হবে এককালীন ১০ লক্ষ টাকা। পাশাপাশি উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে স্বল্পসুদে ঋণ ও ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের অধীনে ৫ লক্ষ পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিমার আওতাতেও পড়বে সেইসব শিশুরা।
কেন্দ্রীয় সরকারের যাবতীয় সমস্ত প্রতিশ্রুতি নিয়েই পাল্টা দিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। প্রদানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘোষণার ট্যুইটটিকে রিট্যুইট করে নিজের দুটি ট্যুইট করে তাঁর বক্তব্য রেখেছেন তিনি। প্রথমটিতে খোঁচা সুরে পিকে লিখেছেন, 'মোদি সরকারের আরও একটি মাস্টারস্ট্রোক। কোভিড বিপর্যয় সামলাতে চূড়ান্ত ব্যর্থতার ফলে যে শিশুদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে তাদের প্রতি সহানুভূতির নামে প্রতিশ্রুতির ফানুস দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ভয়াবহ অবস্থার মাঝেও শিশুরা ইতিবাচক থাকবে এই ভেবে যে ১৮ বছর বয়েস পৌঁছলে সরকারের তরফে সাহায্য পাওয়া যাবে।'
ইচ্ছাকৃতভাবে পজিটিভ ও প্রমিস শব্দদুটিকে ক্যাপিটালে লিখে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ইতিবাচক পরিবেশ দেখানোর চেষ্টা ও প্রতিশ্রুতি এই দুটি প্রসঙ্গে তীব্র খোঁচা দিয়েছেন তিনি। যার পরের ট্যুইটে প্রশান্ত কিশোর কার্যত চাঁচাছোলা ভাষায় জুড়েছেন, 'আমাদের সত্যিই ধন্যবাদ দেওয়া উচিত প্রধানমন্ত্রী ও পিএম কেয়ার্স ফান্ডকে, কারণ সংবিধানে বিনামূল্যে শিক্ষা নিশ্চিত করার যে কথা বলা হয়েছে, সেটার প্রতিশ্রুতি তো মিলেছে।'
দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার হাল নিয়ে কটাক্ষ জুড়ে পিকে লিখেছেন, 'আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পেও শিশুদের অর্ন্তভুক্ত করার কথা বলার প্রতিশ্রুতির জন্য ধন্যবাদ। কারণ যে প্রকল্প ৫০ কোটি ভারতবাসীর স্বাস্থ্য নিশ্চিত করার দাবি করে সেটাই তো আবার মানুষকে প্রয়োজনে হাসপাতালের বেড, অক্সিজেন পর্যন্ত জোগাতে ব্যর্থ হয়।'