নয়া দিল্লি: প্রাক প্রাথমিক থেকেই স্কুল পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে যোগ ও আয়ুর্বেদ। সিলেবাসের খসড়া তৈরির কাজ শেষ। দ্বাদশ পর্যন্ত সব ক্লাসের জন্যেই থাকবে যোগ ও আয়ুর্বেদের আবশ্যিক পাঠ। ইতিমধ্যে প্রতিটি ক্লাসের জন্য সিলেবাসের খসড়া করা হয়েছে। তা কেন্দ্রের অনুমোদন পেলে কার্যকর করা হবে। জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় আয়ুষ মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল।


প্রসঙ্গত, ২০২০-তে কেন্দ্র নতুন শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেছে কেন্দ্র। ৩৪ বছরের শিক্ষানীতির খোলনলচে বদলে ফেলে শিক্ষাক্ষেত্রে বড়সড় পরিবর্তনের পদক্ষেপ নিয়েছিল মোদি সরকার। সেখানে স্বদেশী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে স্কুলের সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত করার কথা রয়েছে। সেই মত একটি স্টিয়ারিং কমিটি  ও একটি টাস্ক ফোর্স তৈরি করা হয়েছে। 


আরও পড়ুন, সাড়ে ৫ মাস পার, এখনও মার্কশিট পাননি বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ও তৃতীয় সিমেস্টারের পরীক্ষার্থীরা


নয়া নীতিতে বিশেষ ভাবে জোর দেওয়া হয়েছে স্কুলেই ভোকেশনাল শিক্ষায়৷ এই নয়া শিক্ষানীতিতে বলা হয়েছে, ছাত্রদের মধ্যে স্কুল জীবন থেকেই অঙ্ক ও বিজ্ঞান ভাবনা বাড়াতে ভোকেশনাল শিক্ষার উপর জোর দেওয়া হয়েছে৷ ছাত্র-ছাত্রীরা ক্লাস ৬ থেকেই কোডিং শিখবে৷ পাশাপাশি নতুন জাতীয় শিক্ষানীতিতে স্কুলস্তরে আয়ুর্বেদ ও যোগা বাধ্যতামূলক বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। জয়পুরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ আয়ুর্বেদ (NIA) এর দায়িত্বে বাকি কাজ হবে বলে এদিন জানা গিয়েছে। 


এই নয়া শিক্ষানীতিতে মাধ্যমিক ‘গুরুত্বহীন’ ৷ একাদশ-দ্বাদশে কোনও স্ট্রিম থাকছে না ৷  নতুন জাতীয় শিক্ষানীতিতে কার্যত গুরুত্বহীন মাধ্যমিক।  তবে এই নয়া শিক্ষানীতিতে গুরুত্ব বাড়বে উচ্চ-মাধ্যমিকের। 


নতুন শিক্ষানীতিতে ১৫ বছরের স্কুলশিক্ষাকে ভাগ করা হয়েছে ৫+৩+৩+৪ ভাগে ৷ ১২ বছর স্কুলের পঠনপাঠন ৷ ৩ বছরের প্রাইমারি - অঙ্গনওয়াড়ি শিক্ষা ৷ এখানে প্রাথমিককেও আনা হচ্ছে স্কুলের আওতায়। ক্লাস ওয়ান ও ক্লাস টু-কে রাখা হচ্ছে প্রি-প্রাইমারির মধ্যে।  সূত্রের খবর, ক্লাস নাইন থেকে  টুয়েলভ - আটটি সেমেস্টারে পড়াশোনা চলবে। ৪ বছরের মধ্যে ৪০টি বিষয়ে পরীক্ষা দিতে হবে।