নয়া দিল্লি : আগামী ২৪ জুলাই শেষ হচ্ছে রাষ্ট্রপতি (President) পদে রামনাথ কোবিন্দের মেয়াদ। কিন্তু, তাঁর উত্তরসূরি কে ? এই নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। এই পরিস্থিতিতে সংখ্যাতত্ত্বের বিচারে কোথায় দাঁড়িয়ে বিজেপি (BJP) ? 


সদ্য শেষ হওয়া পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের মধ্যে চার রাজ্যে দলের বিপুল সাফল্যে কি কোনও অ্যাডভান্টেজ দেবে গেরুয়া শিবিরকে ? রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, চার রাজ্যে বিজেপির বিশাল জয়জয়কার এবছর রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভাল জায়গায় দাঁড় করিয়ে দিয়েছে বিজেপিকে। বিশেষ করে উত্তরপ্রদেশের সাফল্য প্রচুর সুযোগ করে দেবে বিজেপিকে।


যদি উত্তরপ্রদেশের ফল সমাজবাদী পার্টির পক্ষে যেত, তাহলে বিজেপিকে বিজু জনতা দল, তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি ও ওয়াইএসআর কংগ্রসের মতো দলের সমর্থনের ওপর নির্ভর করতে হত। 


আরও পড়ুন ; চার রাজ্যে জিতলেও রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কিন্তু বিজেপির কাছে সহজ হবে না, বললেন মমতা


প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ইলেক্টোরাল কলেজে লোকসভার নির্বাচিত সদস্য, রাজ্যসভার সদস্য এবং রাজ্য ও দিল্লি-পুদুচেরি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নির্বাচিত সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত। আইন পরিষদের সদস্য এবং মনোনীত সদস্যরা ইলেক্টোরাল কলেজের অংশ নন। তাই "এনডিএ সুবিধাজনক জায়গায় রয়েছে", বলে মনে করছেন লোকসভার প্রাক্তন মহাসচিব পি শ্রীধরণ ৷


সংখ্যার পরিপ্রেক্ষিতে বলতে গেলে ইলেক্টোরাল কলেজ গঠিত ৪ হাজার ৮৯৬ জনকে নিয়ে। এর মধ্যে রাজ্যসভার ২৩৩, লোকসভার ৫৪৩ এবং বিধানসভার ৪,১২০ জন সদস্য রয়েছেন। প্রত্যেক সাংসদের ভোটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৭০৮, যেখানে রাজ্যগুলিতে একজন বিধায়কের ভোটের মূল্য সর্বোচ্চ ২০৮।


উত্তর প্রদেশ বিধানসভায় মোট ভোটের মূল্য ৮৩,৮২৪, পাঞ্জাব ১৩,৫৭২, উত্তরাখণ্ড ৪,৪৮০, গোয়া ৮০০ এবং মণিপুরে ১,০৮০। এক রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলছেন, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, গোয়া ও মণিপুরে বিজেপির জয়, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তাদের লড়াইটা সহজ করে দিয়েছে। 


এদিকে বিরোধীদের একটা অংশ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির প্রধান শরদ পাওয়ারের নাম তুলেছে। নাম উঠেছে টিআরএস সুপ্রিমো তথা তেলাঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ারেও। এনসিপি-র তরফে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের নাম তোলা হয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র মধ্যে বিভাজন তৈরি করতে এই দাবি জানানো হয়েছে।