চেন্নাই: স্কুলপড়ুয়ার (student) 'অকালমৃত্যুর' (suicide) ন্যায়বিচার (protest) চেয়ে আগুন জ্বলল তামিলনাড়ুর (tamil nadu) কল্লাকুরিচি জেলার একটি আবাসিক স্কুলে (residential school)। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের তিনটি গাড়ি-সহ মোট ১৩টি গাড়ি পুড়িয়ে দেয় বলে অভিযোগ। দেদার পাথরও ছোড়া হয়। সব মিলিয়ে তীব্র উত্তেজনা। কিন্তু কেন এমন ক্ষোভ?
স্কুলপড়ুয়ার 'আত্মহত্যা'
চিন্না সালেমের কাছে কানিয়ামুরের একটি আবাসিক স্কুলে গত বুধবার দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশের ধারণা, আত্মঘাতী হয়েছেন ওই তরুণী। তাঁর হস্টেল রুম থেকে একটি সুইসাইড নোটও মেলে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। খারাপ ফলাফলের জন্য তাঁকে মারাত্মক চাপ দেওয়া হত বলে সেই নোটে লিখে যান তরুণী। একই কারণে কয়েকজন শিক্ষিকার দিকে আঙুলও তোলেন। ঘটনাটি জানাজানি হতেই উত্তেজনা ছড়ায়।
বিক্ষোভের আঁচ
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের একাংশের দাবি, রবিবার সকাল দশটা নাগাদ অন্তত হাজার দুয়েক বিক্ষোভকারী ওই স্কুলের সামনে জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। আধঘণ্টার মধ্যে বিক্ষোভ হিংসাত্মক হয়ে ওঠে। স্কুল বিল্ডিং, ক্লাসরুম, প্রিন্সিপালের ঘর সর্বত্র তছনছ করেন আন্দোলনকারীরা। ক্যাম্পাসে দাঁড়িয়ে থাকা স্কুল বাসে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশের তিনটি গাড়ি-সহ মোট তেরোটি যান দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে। দেদার পাথর ছোড়া হয়। তাণ্ডবে আহত হন ডিস্ট্রিক্ট সুপার। সব মিলিয়ে ক্ষোভের আগুন চরমে। সূত্রের খবর, এদিন বিক্ষোভ দেখানোর আগে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে সমস্ত যুব সংগঠনকে প্রতিবাদে যোগ দিতে আহ্বান জানানো হয়েছিল। কিন্তু কেন হঠাৎ এতটা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলেন বাসিন্দারা? এখনও স্পষ্ট নয়। এসবের মধ্যে আগামিকাল মাদ্রাজ হাইকোর্টে শুনানি। সরকারপক্ষ অবশ্য আগেই জানিয়ে রেখেছে, মামলাটা ইডি-সিবিআইকে পাঠানো হবে।
কিন্তু তার আগেই ক্ষোভের আঁচে জ্বলছে আবাসিক স্কুল চত্বর। চারদিকে দাউদাউ করে জ্বলছে আগুন। কিছুটা হতভম্ব প্রশাসনও।
আরও পড়ুন:সর্বদলীয় বৈঠকে নেই প্রধানমন্ত্রী, তোপ ক্ষুব্ধ বিরোধীদের