অমৃতসর : পাঞ্জাবে কংগ্রেসকে কোণঠাসা করে সরকার গঠনের পথে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আপ। ১১৭-র মধ্যে আপ দখল করতে চলেছে ৯০টি আসন। মাত্র ১৮ আসন পেয়ে কার্যত ধরাশায়ী কংগ্রেস। এই পরিস্থিতিতে পাঞ্জাবে হার স্বীকার করে ট্যুইট কংগ্রেস নেতা নভজ্যোৎ সিংহ সিধুর।


ট্যুইটারে তিনি লিখলেন, "মানুষের কণ্ঠস্বর মানে ঈশ্বরের কণ্ঠস্বর। পাঞ্জাবের মানুষের রায় মাথা পেতে নিচ্ছি। আম আদমি পার্টিকে অভিনন্দন।" 


২০১৭ সালে ফলটা ছিল অন্যরকম। ৭৭টি আসনে জিতে রাজ্যে সরকার গড়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু, এবার ১১৭-র মধ্যে মাত্র ১৮ আসন এগিয়ে কার্যত ধরাশায়ী কংগ্রেস। বরং সেই তুলনায় পঞ্জাবের রাজনীতিতে আনকোড়া আপের দখলে ৯০ আসন। ১১৭ আসনের পঞ্জাব বিধানসভায় সরকার গড়ার ম্যাজিক সংখ্যা ৫৯। তাই সেখানে আপ সরকার প্রতিষ্ঠা হওয়ার দিকেই এগোচ্ছে।


দলের এই সাফল্যে স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ফলের ট্রেন্ডে আপের বিপুল সাফল্যে ইঙ্গিত পেতেই সোশ্যাল মিডিয়া পাঞ্জাবের মানুষকে অভিনন্দন জানিয়েছেন কেজরিওয়াল। ট্যুইটারে তিনি লিখেছেন, এই বিপ্লবের জন্য পাঞ্জাবের মানুষকে ধন্যবাদ।  


এর আগে ২০১৭ সালেও পাঞ্জাবে ভোটের ময়দানে নেমেছিল আপ। সে বার থামতে হয়েছিল তাদের। নতুন দল হিসেবে এই আসনসংখ্যা যে মোটেই ফেলনা নয়, সে কথা তখনই অনুধাবন করতে পেরেছিলেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তার পর থেকে দিল্লিতে মসনদ সামলানোর পাশাপাশি পঞ্জাবেও রাজনৈতিক সক্রিয়তা লাগাতার বজায় রেখে এসেছে তারা। এই ধারাবাহিকতার সুফলই তারা ঘরে তুলতে পারল বলে মনে করা হচ্ছে। ভগবন্ত সিংহ মান পঞ্জাবে আপের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী। ধুরি থেকে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। শুরু থেকেই নিজের কেন্দ্রে এগিয়েছিলেন। 


এ দিন ভোটের ফলাফল যখন আপের সরকারে আসা নিশ্চিত করছে, সেই সময় বিনয়ের সুরই ধরা পড়ে ভগবন্তের (Bhagwant Singh Mann) গলায়। জানান, মানুষের রায়কে স্বাগত জানাচ্ছেন তিনি। এই বিপুল জনসমর্থনের মর্যাদা রাখার চেষ্টা করবেন। মাথা ঘুরে যেতে দেবেন না। 


প্রসঙ্গত, ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের কংগ্রেস-ত্যাগ, চরণজিৎ সিং চান্নির মুখ্যমন্ত্রী হওয়া, শিরোমণি অকালি দলের সঙ্গে বিজেপির দূরত্ব তৈরি হওয়া, নতুন দল গঠন অমরিন্দরের, সিধুকে দায়িত্ব দেওয়া কংগ্রেসের- ভোটের আগে পাঞ্জাবের রাজনীতিতে কম চাপানউতোর দেখা যায়নি। তা সত্ত্বেও বৃহস্পতিবার বিধানসভা নির্বাচনের গণনায় আক্ষরিক অর্থেই মুখ পুড়েছে কংগ্রেসের।