নয়া দিল্লি: দেশে প্রতিদিন বেড়ে চলেছে কোভিডের দাপট। এই প্রেক্ষাপটে চলতি মাসের ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস পালনের ক্ষেত্রে কঠোর বিধি নিষেধ জারি হতে চলেছে। এর ফলে প্রজাতন্ত্র দিবসের মূল আকর্ষণ প্যারেডের অনুষ্ঠানটিও জৌলুসহীন হতে চলেছে। করোনা পরিস্থিতিতে কম সংখ্যক দর্শকের উপস্থিতিতে এবারের প্রজাতন্ত্র দিবস পালনের কথা চিন্তাভাবনা করছে কেন্দ্র। 


সরকারি আধিকারিকরা সংবাদসংস্থা এএনআইকে জানিয়েছে, অনুষ্ঠান চলাকালীন দর্শকদের নিরাপত্তানিয়ে আলোচনা করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলিকে নিয়ে ইতিমধ্যেই একটি বৈঠক আয়োজন করা হয়েছে।  


বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে গত বছরে কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে যা যা বিধি আরোপিত ছিল, এ বছর সেগুলি থাকবেই। তা ছাড়াও এ বছর প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপনের সময় আরও কঠোর বিধিনিষেধ লাগু করা হবে। 


এএনআইকে এক উচ্চপদস্ত আধিকারিক বলেন, "প্যারেডের রুটটি গত বছরের মতোই ছোট হবে। মার্চিং কন্টিনজেন্ট লাল কেল্লার পরিবর্তে ইন্ডিয়া গেট সি-হেক্সাগনে শেষ হবে। সেন্ট্রাল ভিস্তার অধীনে পুনর্নির্মাণ করা রাজপথটি বিজয় চক এবং ইন্ডিয়া গেটের মধ্যে খোলা হয়েছে প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে অংশগ্রহণকারী কন্টিনজেন্টের মহড়ার জন্য।" 


এও জানান হয়, "প্রজাতন্ত্র দিবসে রাজপথে কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণকারী সমস্ত আমন্ত্রিতদের কঠোরভাবে COVID-19 পরামর্শ মেনে চলতে হবে। যার মধ্যে তাপমাত্রা পরীক্ষা, স্যানিটাইজার, মাস্ক এবং সামাজিক দূরত্ব অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। আমন্ত্রিতদের জন্য ভ্যাকসিন শংসাপত্র বাধ্যতামূলক করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে পরবর্তী বৈঠকে।" 


আধিকারিক আরও জানিয়েছেন যে গত বছরের মতোই, প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে প্রবেশ করতে পারবেন না ১৫ বছরের কম বয়সিরা। ওমিক্রনে শিশুরাও সমানভাবে আক্রান্ত হচ্ছে, তাই এই বিধিনিষেধ জারি থাকছে। বাড়িতে বসে সরাসরি অনুষ্ঠান সম্প্রচার দেখার কথা জানান হচ্ছে। 


দর্শকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রতিটি গেটের বাইরে মেডিকেল টিম মোতায়েন করা হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য, প্যারেডে প্রবেশের গেটগুলি বাড়ানো হবে বলেও জানান হয়েছে।