নয়াদিল্লি : বয়স তাঁর ১০৫। সেঞ্চুরি পার করেও তিনি নুয়ে পড়েননি। বয়সের ভারে নুব্জ হয়ে বিছানাকে সঙ্গী করে নেননি। হ্যাঁ, চলাফেরার সুবিধের জন্য তাঁর সঙ্গী হয়েছে একটি হুইল চেয়ার। কোয়েম্বত্তুরের কাছে ছোট্ট গ্রাম থেক্কামপট্টি (Thekkampatti village)। সেখানে তাঁর কর্মকাণ্ড। সেখানে গেলেই আপনাকে তিনি ভরিয়ে দেবেন উষ্ণ অভ্যর্থনায়। আর কাউকে না খাইয়ে ছাড়বেন না এই বৃদ্ধা। তিনি আর পাপ্পামমাল (R Pappammal )। অর্গ্যানিক চাষ করা ও সেই বিষয়ে সকলকে অনুপ্রাণিত করার জন্য এই শতবর্ষ পার করা বৃদ্ধা এবার পেলেন পদ্মসম্মান। 



সাদা চকচকে চুল। পরনে রঙিন শাড়ি। হুইলচেয়ারে এগিয়ে এলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের দিকে। ভূষিত হলেন পদ্মশ্রী সম্মানে। 

প্রচার, মিডিয়ার ফোন, একের পর এক সাক্ষাৎকারের অনুরোধ, ক্যামেরার সামনে পোজ দেওয়ার অনুরোধ। এসব তাঁর জীবনে ছিল না। কিন্তু বছরের শুরুতে পদ্মশ্রী প্রাপক হিসেবে নাম ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই তাঁর কাছে মিডিয়ার ফোন, নানারকম অনুরোধ। তবু তার সঙ্গে দিব্য মানিয়ে নিয়েছেন তিনি। 




ভাল কিছু করতে গেলে খাটতে হবে, এই মন্ত্রে বিশ্বাসী তিনি। অন্যকে দিয়ে নয়, নিজেকেও সমানভাবে পরিশ্রম করে যেতে হবে। এক সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন তাঁর বোনের নাতি আর বালাসুব্রহ্মণ্যম। বললেন, ঠাকুমা সব সময় বলেন, আমি এই বয়সে যদি কাজ করতে পারি, তোমরা পারবে না কেন! 

আরও পড়ুন :


 'পদ্মশ্রী' পুরস্কারে ভূষিত হলেন কঙ্গনা রানাওয়াত, আদনান সামি ও অন্যান্য অনেকে




উচ্চতা প্রায় ৬ ফুট। ছিপছিপে শরীর। গড়নই বলে দেয়, এই বয়সেও তাঁর পরিশ্রমে ঘাটতে নেই। এমনকী নিকটজনেরা বলেন, উনি সামনে থাকলে কাজ থামান না কেউই। 


কৃষক-পরিবারের সন্তান পাপ্পামঙ্গল। ২.৫ একর জমি আছে তাঁদের। এখন সেখানে অর্গ্যানিক পদ্ধতিতে চাষ করেন তিনি। তামিলনাডু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ( Tamil Nadu Agricultural University )হাতে কলমে কাজ করেছেন দীর্ঘকাল। একদিন সেখানেই শোনেন অর্গ্যানিক চাষের কথা। তারপর তিনি তা নিজের জমিতে করে দেখেন। কাজ সফল হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দলে দলে ছাত্ররা তাঁর কাছে আসতে শুরু করে।