নয়াদিল্লি: ৭৩ তম প্রজাতন্ত্র দিবসে ট্যুইট করে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী।  তিনি ট্যুইটে লিখেছেন, ১৯৫০-এ প্রজাতন্ত্র দিবসে দেশ সঠিক দিশায় প্রথম পদক্ষেপ নিয়েছিল। সত্য ও সাম্যের প্রথম পদক্ষেপকে স্যালুট। 


তবে এদিন তাঁর ট্যুইটের উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে  ট্যুইটের সঙ্গে থাকা ছবি। তা হল অমর জওয়ান জ্যোতির ইলাস্ট্রেশন। সম্প্রতি গত ২১ জানুয়ারি তা ইন্ডিয়া গেট থেকে ৪০০ মিটার দূরত্বে ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়ালে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল।



সরকারের এই সিদ্ধান্তে বিতর্কের ঝড় উঠেছিল। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিলেন  প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী।  ৫০ বছর পর ইন্ডিয়া গেটে অমর জওয়ান জ্যোতি নেভানোর সিদ্ধান্তের জন্য কেন্দ্রের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন তিনি।  রাহুল ট্যুইট করে বলেছিলেন, ভারতীয় সেনাদের বীরত্বের নিদর্শন হিসেবে যে অনির্বাণ শিখা এতদিন জ্বলছিল, তা এবার নিভতে চলেছে। এটা দুঃখজনক। কিছু মানুষ দেশাত্মবোধ ও আত্মত্যাগের মানে বোঝেন না। কোনও সমস্যা নেই। আমরা আবার অমর জওয়ান জ্যোতি জ্বালাব।


উল্লেখ্য,  ১৯৭১-এর বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতীয় সেনাদের স্মৃতিতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী অমর জওয়ান জ্যোতি স্মৃতিসৌধের উদ্বোধন করেন।


 অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, ২০১৯ সালে নির্মিত জাতীয় যুদ্ধ স্মারকেও অগ্নিশিখা প্রজ্বলিত। আবার ইন্ডিয়া গেটেও। দু’টি শিখাকে প্রজ্জ্বলিত রাখার খরচ দিন দিন বেড়ে চলেছে। তাই ইন্ডিয়া গেটের ‘অমর জওয়ান জ্যোতি’র অগ্নিশিখাকে মিলিয়ে দেওয়া হবে জাতীয় যুদ্ধ স্মারকের সঙ্গে।


এই নিয়ে বিতর্কের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্র জানিয়েছিল যে, ব্রিটিশ নির্মিত ইন্ডিয়া গেট প্রথম বিশ্বযুদ্ধে নিহত তৎকালীন ব্রিটিশ বাহিনীর অংশ সেনাদের উল্লেখ ঔপনিবেশিক শাসনেরই ধারক বাহক বলেও দাবি করেছে কেন্দ্র। তাদের যুক্তি, ‘ইন্ডিয়া গেটে যে মুষ্টিমেয় শহিদের নাম খোদাই করা রয়েছে, তাঁরা প্রথম বিশ্বয়ুদ্ধে এবং ইন্দো-আফগান যুদ্ধে ব্রিটিশদের হয়ে লড়াই করতে গিয়ে শহিদ হন। তাই ইন্ডিয়া গেট ঔপনিবেশিক শাসনেরই প্রতীক। জাতীয় যুদ্ধ স্মারকে ১৯৭১ এবং তার আগের এবং পরের ভারতীয় শহিদদের উল্লেখ রয়েছে। তাই জাতীয় যুদ্ধ স্মারকে প্রজ্জ্বলিত অগ্নিশিখাই প্রকৃত অর্থে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি।’