জয়পুর:  ক্রমবর্ধমান করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এবার পূর্ণ লকডাউনের পথে হাঁটল রাজস্থান সরকারও। 


গত কয়েকদিন ধরে রাজস্থানে করোনা সংক্রমণের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। বৃহস্পতিবার, রাজ্যে সাড়ে ১৭ হাজার মানুষ আক্রান্ত হন। মারা যান ১৬১ জন। এখনও পর্যন্ত রাজস্থানে ৫ হাজারের বেশি মানুষ এই মারণ ভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছেন। আক্রান্ত হয়েছেন ৭ লক্ষের বেশি। 


এই পরিস্থিতিতে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে বিশেষ করোনা-বৈঠকে বসেছিল রাজস্থান ক্যাবিনেট। করোনাকালে ভার্চুয়াল মাধ্যমে হয়েছিল ওই বৈঠক। সেখানেই লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 


প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, লকডাউন কার্যকর হবে আগামী সোমবার, ১০ মে থেকে। চলবে ২৪ মে পর্যন্ত। অর্থাৎ, আগামী ২ সপ্তাহের জন্য রাজস্থানে হচ্ছে টোটাল লকডাউন। 


কী করা যাবে ও কী করা যাবে না--


সরকারি হোক বা বেসরকারি, সব ধরনের যানবাহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা। শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত গাড়িতে ছাড়। 


বন্ধ থাকবে সকল ধর্মীয় ও প্রার্থনাস্থল।


এমজিএনরেগার সব কাজ স্থগিত থাকবে।


এক শহর বা গ্রাম থেকে অন্য শহর বা গ্রামে যাতায়াত নিষিদ্ধ।


বাইরে থেকে রাজ্যে প্রবেশ করতে হলে আরটি-পিসিআর নেগেটিভ রিপোর্ট বাধ্যতামূলক। অন্যথায়, ১৫ দিনের কোয়ারেন্টিন


শ্রমিকদের যাতে কর্মহীন না হয়ে পড়েন, কারখানায় তাঁদের কাজের অনুমতি থাকবে। নির্মাণস্থল বা কারখানায় যেতে বিশেষ বাসের ব্যবস্থা করা হবে।


পূর্ব ঘোষণামতো, যে দোকানগুলিকে খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, এবারও খোলা থাকতে পারবে সেগুলি। 


বিয়ে হবে। আদালত বা বাড়িতে করতে হবে। থাকতে পারবেন সর্বোচ্চ ১১ জন। বিয়ের কোনও অনুষ্ঠান হবে না।


করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর এর আগে মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, ওড়িশা, তামিলনাড়ু, কেরল, হরিয়ানা-সহ বেশকিছু রাজ্য লকডাউন ও নাইট কার্ফুর পথে হেঁটেছে।


ভয়ঙ্কর করোনা রুখতে গতকাল লকডাউন জারি করে মধ্যপ্রদেশ। ১৫ মে পর্যন্ত রাজ্যে লকডাউন জারি থাকবে বলে জানিয়েছে মধ্যপ্রদেশ প্রশাসন।


এদিনই ৮ মে থেকে ১৬ মে পর্যন্ত কেরলেও সম্পূর্ণ লকডাউন জারি করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আংশিক লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে


করোনা সংক্রমণের-চেন ভাঙতে প্রয়োজনে লকডাউন জারি করা হোক বলে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলিকে গত সপ্তাহে পরামর্শ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সেই সঙ্গে সর্বোচ্চ আদালতের বার্তা, লকডাউনে যাতে প্রান্তিক মানুষরা সমস্যায় না পড়ে, সেদিকেও নজর রাখতে হবে।