নয়াদিল্লি: মহারাষ্ট্রের পর রাজস্থান। রাজ্যের সকলকে বিনামূল্য়ে করোনার টিকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করল রাজস্থান সরকার। রবিবার রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলৌত জানিয়েছেন, এর জন্য খরচ হবে প্রায় ৩,০০০ কোটি টাকা। রবিবার ট্যুইটারে এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণার পাশাপাশি রাজ্যের ওপর অতিরিক্ত আর্থিক বোঝার বিষয়টিও তুলে ধরেছেন তিনি।
এদিন নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে হিন্দিতে তিনি লিখেছেন, "১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সকলকে বিনামূল্যে টিকা দেবে রাজস্থান সরকার। যার জন্য খরচ হবে প্রায় ৩,০০০ কোটি টাকা।" কেন্দ্রের উদ্দেশে এদিন তিনি বলেন, "এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্র যদি ১৮-৪৫ বছর বয়সীদের ভ্যাকসিনের জন্য ব্যয় করত তাহলে অনেকটাই সমস্যার সমাধান হত। এ ক্ষেত্রে রাজ্যের বরাদ্দ থেকে অতিরিক্ত খরচ কমানো সম্ভব হত।"
গত কয়েকদিন ধরেই কেন্দ্রের কাছে ভ্যাকসিনের খরচ বহনের আবেদন জানিয়েছিলেন অশোক গেহলৌত। সম্প্রতি করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানেই ভ্যাকসিনের খরচের বিষয়টি তাঁর সামনে তুলে ধরেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, বর্তমানে কোভিড পরিস্থিতি বিচার করে রাজ্যে গতিবিধি আরও কড়াকড়ি করেছে রাজস্থান সরকার। জানানো হয়েছে, সপ্তাহান্তে সমস্ত দোকান-বাজার বন্ধ রাখা হবে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা সকাল ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। ব্যাঙ্ক খোলা থাকবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত। দুধ এবং দুগ্ধজাত জিনিসের দোকান ফের বিকেল ৫টা থেকে ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। পেট্রোল পাম্প এবং LPG ডিস্ট্রিবিউশন সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
মাত্র ৫০ জন ব্যক্তি নিয়ে কোনও সামাজিক অনুষ্ঠানের অনুমতি রয়েছে। জরুরি ক্ষেত্র ছাড়া জেলার বাইরে যাওয়া বা ভিতরে আসায় নিষেধাজ্ঞা থাকছে।
দেশে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। রাজস্থানে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৫,৩৫৫ জন। মৃত্যু হয়েছে ৭৪ জনের। দেশেও রোজ রেকর্ড ভাঙছে সংক্রমণ, গত ২৪ ঘণ্টায় গোটা দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৩.৪৯ লক্ষ। প্রাণ হারিয়েছেন ২,৭৬৭ জন।
এই অবস্থায় ভ্যাকসিন নিয়েও জলঘোলা চলছেই। সরকারি বেসরকারি ক্ষেত্রে ভ্যাকসিনের দাম বেঁধে দিয়েছে সরকার। এই অবস্থায় বেশ কিছু রাজ্য বিনামূল্যে ভ্যাকসিনের কথা ঘোষণা করলেও তা কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে ধন্দ রয়েছেই।
সম্প্রতি দলীয় কর্মিসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। জানিয়েছেন, ফলপ্রকাশের পরে ৫ মে থেকে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সকলকে ফ্রি-তে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। পাশাপাশি কেন্দ্রকে তোপ দেগে তৃণমূল নেত্রীর মন্তব্য, ‘কোভিডে জর্জরিত দেশ। আমি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন করব সবাইকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দিতে। প্রধানমন্ত্রীর রিলিফ ফান্ডে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা আছে, সেখান থেকে ভ্যাকসিনের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকা দিলে কোনও ক্ষতি হবে না। কেন্দ্রীয় সরকারের গাফিলতির জন্য দেশের করোনা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।’
উল্লেখ্য, দেশের মধ্যে সংক্রমণের শীর্ষে মহারাষ্ট্র। করোনা মোকাবিলায় তাই রাজ্যবাসীকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে উদ্ধব ঠাকরের সরকার। আজ একথা জানান রাজ্যের মন্ত্রী নবাব মালিক। তিনি জানান, রাজ্য মন্ত্রিসভার একটি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গতকাল উপমুখ্যমন্ত্রী তথা অর্থমন্ত্রী অজিত পওয়ার জানিয়েছেন, রাজ্যে ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
১৬ জানুয়ারি থেকে ভারতে করোনার টিকাকরণ শুরু হয়েছে। ১ মার্চ থেকে ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের এবং ৪৫ বছরের বেশি বয়সীদের ভ্যাকসিনেশন শুরু হয়। আগামী ১ মে থেকে ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। কেন্দ্রের ঘোষণা অনুযায়ী, ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী সংস্থাগুলি রাজ্য সরকার এবং খোলা বাজারে ৫০ শতাংশ ডোজ বিক্রি করতে পারবে। সেজন্য তাদের ১ মে-র আগেই আগাম মূল্য জানাতে বলা হয়েছে।
এদিন নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে হিন্দিতে তিনি লিখেছেন, "১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সকলকে বিনামূল্যে টিকা দেবে রাজস্থান সরকার। যার জন্য খরচ হবে প্রায় ৩,০০০ কোটি টাকা।" কেন্দ্রের উদ্দেশে এদিন তিনি বলেন, "এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্র যদি ১৮-৪৫ বছর বয়সীদের ভ্যাকসিনের জন্য ব্যয় করত তাহলে অনেকটাই সমস্যার সমাধান হত। এ ক্ষেত্রে রাজ্যের বরাদ্দ থেকে অতিরিক্ত খরচ কমানো সম্ভব হত।"
গত কয়েকদিন ধরেই কেন্দ্রের কাছে ভ্যাকসিনের খরচ বহনের আবেদন জানিয়েছিলেন অশোক গেহলৌত। সম্প্রতি করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানেই ভ্যাকসিনের খরচের বিষয়টি তাঁর সামনে তুলে ধরেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, বর্তমানে কোভিড পরিস্থিতি বিচার করে রাজ্যে গতিবিধি আরও কড়াকড়ি করেছে রাজস্থান সরকার। জানানো হয়েছে, সপ্তাহান্তে সমস্ত দোকান-বাজার বন্ধ রাখা হবে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা সকাল ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। ব্যাঙ্ক খোলা থাকবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত। দুধ এবং দুগ্ধজাত জিনিসের দোকান ফের বিকেল ৫টা থেকে ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। পেট্রোল পাম্প এবং LPG ডিস্ট্রিবিউশন সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
মাত্র ৫০ জন ব্যক্তি নিয়ে কোনও সামাজিক অনুষ্ঠানের অনুমতি রয়েছে। জরুরি ক্ষেত্র ছাড়া জেলার বাইরে যাওয়া বা ভিতরে আসায় নিষেধাজ্ঞা থাকছে।
দেশে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। রাজস্থানে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৫,৩৫৫ জন। মৃত্যু হয়েছে ৭৪ জনের। দেশেও রোজ রেকর্ড ভাঙছে সংক্রমণ, গত ২৪ ঘণ্টায় গোটা দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৩.৪৯ লক্ষ। প্রাণ হারিয়েছেন ২,৭৬৭ জন।
এই অবস্থায় ভ্যাকসিন নিয়েও জলঘোলা চলছেই। সরকারি বেসরকারি ক্ষেত্রে ভ্যাকসিনের দাম বেঁধে দিয়েছে সরকার। এই অবস্থায় বেশ কিছু রাজ্য বিনামূল্যে ভ্যাকসিনের কথা ঘোষণা করলেও তা কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে ধন্দ রয়েছেই।
সম্প্রতি দলীয় কর্মিসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। জানিয়েছেন, ফলপ্রকাশের পরে ৫ মে থেকে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সকলকে ফ্রি-তে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। পাশাপাশি কেন্দ্রকে তোপ দেগে তৃণমূল নেত্রীর মন্তব্য, ‘কোভিডে জর্জরিত দেশ। আমি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন করব সবাইকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দিতে। প্রধানমন্ত্রীর রিলিফ ফান্ডে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা আছে, সেখান থেকে ভ্যাকসিনের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকা দিলে কোনও ক্ষতি হবে না। কেন্দ্রীয় সরকারের গাফিলতির জন্য দেশের করোনা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।’
উল্লেখ্য, দেশের মধ্যে সংক্রমণের শীর্ষে মহারাষ্ট্র। করোনা মোকাবিলায় তাই রাজ্যবাসীকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে উদ্ধব ঠাকরের সরকার। আজ একথা জানান রাজ্যের মন্ত্রী নবাব মালিক। তিনি জানান, রাজ্য মন্ত্রিসভার একটি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গতকাল উপমুখ্যমন্ত্রী তথা অর্থমন্ত্রী অজিত পওয়ার জানিয়েছেন, রাজ্যে ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
১৬ জানুয়ারি থেকে ভারতে করোনার টিকাকরণ শুরু হয়েছে। ১ মার্চ থেকে ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের এবং ৪৫ বছরের বেশি বয়সীদের ভ্যাকসিনেশন শুরু হয়। আগামী ১ মে থেকে ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। কেন্দ্রের ঘোষণা অনুযায়ী, ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী সংস্থাগুলি রাজ্য সরকার এবং খোলা বাজারে ৫০ শতাংশ ডোজ বিক্রি করতে পারবে। সেজন্য তাদের ১ মে-র আগেই আগাম মূল্য জানাতে বলা হয়েছে।