কেরল: পরনে থাকার কথা ছিল শাড়ি, গয়না। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি বদলে দিল কনের সাজসজ্জা। শাড়ির বদলে বেছে নিতে হল পিপিই কিটকে। আর কনের বেশে এইভাবে হাসপাতালে হাজির হলেন যুবতী। যাবতীয় বিধি মেনে কোভিড ওয়ার্ডেই করোনা আক্রান্ত যুবকের সঙ্গে বিয়ে সারলেন।


একজন করোনা আক্রান্ত। আরেকজনের পরনে পিপিই কিট। কিন্তু বিয়ে করতে হবে নির্ধারিত দিনেই। তাই কোভিড ওয়ার্ডেই বিয়ে সারলেন যুবক যুবতী। ঘটনা কেরলের আলাপ্পুঝার। আলাপ্পুঝার কৈনাকারির বাসিন্দা শরৎ মন এবং অভিরামি। দিনকয়েক আগে শরৎ মনের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপর তাঁকে ভর্তি করা হয় আলাপ্পুঝার মেডিক্যাল কলেজে। ওই করোনা ওয়ার্ডে পিপিই কিট পরে হাজির হয়েছিলেন পাত্রী। সেখানেই দুজনের চার হাত এক হল।


বিদেশে একটি নামজাদা সংস্থায় চাকরি করেন শরৎ। বিয়ের জন্যই ফিরেছিলেন নিজের বাড়িতে। আর বিয়ের প্রস্তুতির মধ্যেই করোনা আক্রান্ত হন তিনি। পরে ওই যুবকের মায়ের করোনা আক্রান্ত হন। দুজনকেই ভর্তি করা হয় আলাপ্পুঝার মেডিক্যাল কলেজে। এই আবহে আত্মীয় এবং পরিবারের সবার উপস্থিতিতে বিয়ে হয়।


কিন্তু করোনাকালে কোভিড ওয়ার্ডে কীভাবে সম্ভব হল এই বিয়ে? জানা গিয়েছে, যাবতীয় কোভিড বিধি মেনেই বিয়ের আয়োজন করা হয়। জেলা শাসক সহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের অনুমতি নেওয়া হয়েছিল বলে খবর। কোভিড ওয়ার্ডে দুই পরিবারের সদস্য়রা পিপিই কিট পরেই উপস্থিত ছিল। সারা দেশজুড়ে যেখানে আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই ভাইরাস। সেই আবহে এক অনন্য ঘটনার সাক্ষী থাকল দেশ।


এদিকে দেশে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। পরপর ৪ দিন দেশে দৈনিক আক্রান্ত ৩ লক্ষ পার। একদিনে মৃত্যুর সংখ্যা আড়াই হাজারের বেশি।  গত ২৪ ঘণ্টায়  দেশে দৈনিক করোনা আক্রান্তর সংখ্যা ৩,৪৯,৬৯১। মৃতের সংখ্যা ২,৭৬৭। সুস্থ হয়ে ছাড়া পেয়েছেন ২,১৭,১১৩ জন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অ্যাক্টিভ আক্রান্তের সংখ্যা ২৬,৮২,৭৫১।


ভারতে করোনায় মৃতের সংখ্যা পরপর ৫ দিন ২ হাজার পার করল।  সবমিলিয়ে ভারতে মোট আক্রান্তর সংখ্যা ১,৬৯,৬০,১৭২। মোট সুস্থের সংখ্যা ১,৪০,৮৫,১১০। মোট মৃতের সংখ্যা ১,৯২,৩১১।সরকারের তথ্য অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত টিকাকরণ হয়েছে ১৪,০৯,১৬,৪১৭ জনের। এর আগের দিন দেশে দৈনিক করোনা আক্রান্তর সংখ্যা ছিল ৩,৪৬,৭৮৬। গত চার দিনে দেশে নতুন করে  ১৩ লক্ষের বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। ২১ এপ্রিল থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত  দৈনিক আক্রান্তর সংখ্যা যথাক্রমে ৩.১৪ লক্ষ, ৩.৩২ লক্ষ, ৩.৪৬ লক্ষ ও ৩.৪৯ লক্ষ।