নয়াদিল্লি:রাজ্যসভার ১২ জন সাংসদের সাসপেনশন নিয়ে কেন্দ্রের ডাকা বৈঠকে বয়কট করল কংগ্রেস, তৃণমূল-সহ ৫টি দল। এদিন সকাল ১০টায় সংসদের লাইব্রেরি বিল্ডিংয়ে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। যে সমস্ত দলের সাংসদদের সাসপেন্ড করা হয়েছে, সেই কংগ্রেস, তৃণমূল, শিবসেনা, সিপিএম ও সিপিআই-কে ডাকা হয়। শুধুমাত্র ৫টি দলকে ডাকার প্রতিবাদ জানিয়ে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে ও বামেদের তরফে কেন্দ্রকে চিঠি দেওয়া হয়। চিঠিতে তিনি লেখেন, ১২ সাংসদের সাসপেনসনের প্রতিবাদে সমস্ত বিরোধী দলই ঐক্যবদ্ধ। আমরা ২৯ নভেম্বর থেকেই অনুরোধ করে আসছি যে, রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বা সভার নেতা পিযুষ গয়াল অচলাবস্থার অবসানের জন্য সমস্ত বিরোধী দলগুলির নেতাদের বৈঠকে ডাকুন। আমাদের এই যুক্তিসঙ্গত অনুরোধ মানা হয়নি। এর ওপর শুধুমাত্র পাঁচ বিরোধী দলের নেতাদের বৈঠকে ডাকার সিদ্ধান্ত অন্য়ায্য ও দুর্ভাগ্যজনক।
তিনি বলেন, বিরোধীদের ঐক্য ভাঙার ষড়যন্ত্র ছাড়া এই বৈঠক আর কিছু নয়। এ ব্যাপারে বৈঠক করতে হলে ডাকতে হবে সব দলকে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় বৈঠক নয়, বরং আজই ১২ জন সাংসদের ওপর থেকে সাসপেনসন তুলে নেওয়া হোক। রাজ্যসভার স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনা জরুরি। বৈঠকে শুধু পাঁচ দলকে ডাকার প্রতিবাদ করে বাম দলগুলিও। এর থেকেই বোঝা গিয়েছিল যে, বিরোধীরা এদিনের বৈঠকে অংশ নেবে না।
এ ব্য়াপারে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী পাল্টা কটাক্ষ করে বলেছেন, আসলে মানুষই ওদের বয়কট করেছে। তিনি বলেছেন, সমাধান খুঁজতে আমরা যে দলগুলির সাংসদদের সাসপেন্ড করা হয়েছে, সেই দলগুলির সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তারা বৈঠক বয়কট করছে। তারা সংবিধান দিবসের অনুষ্ঠানও বয়কট করেছিল। তাদের বোঝা উচিত, মানুষও তাদের বয়কট করছে।
লোকসভায় কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরী বলেছেন, সংসদ কীভাবে চলবে, তা সরকারের ওপর নির্ভর করছে। সরকার আমাদের বৈঠকে ডাকেনি। কারণ বিষয়টি রাজ্যসভার।
উল্লেখ্য, বাদল অধিবেশনে বিশৃঙ্খলার অভিযোগে এর আগে গোটা শীতকালীন অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করা হয় কংগ্রেসের ৬, তৃণমূল ও শিবসেনার ২ জন করে, সিপিএম ও সিপিআইয়ের একজন করে রাজ্যসভার মোট ১২ জন সাংসদকে।