নয়াদিল্লি: শান্তনু সেনের পর আরও ৬ জন তৃণমূল সাংসদ সাসপেন্ড। সাসপেন্ড দোলা সেন, মহম্মদ নাদিমুল হক, আবির রঞ্জন বিশ্বাস। সাসপেন্ড শান্তা ছেত্রী, অর্পিতা ঘোষ, মৌসম বেনজির নূর। শুধুমাত্র আজকের জন্যই ৬ তৃণমূল সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের পদকে অসম্মান করা ও ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখানোয় সাসপেন্ড করা হয় তাঁদের।

পেগাসাস-বিতর্কে  আজও উত্তাল হল সংসদের বাদল অধিবেশন। সমস্ত আলোচনা স্থগিত করে পেগাসাস ইস্যুতে আলোচনা চেয়ে নোটিস দেন তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যসভাতেও একই ইস্যুতে সরব হয় তৃণমূল। মুলতুবি প্রস্তাব আনতে চেয়ে নোটিস দেন সুখেন্দুশেখর রায়। ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল সাংসদরা। বেশ কিছুক্ষণ এমনই চলার পর সাসপেন্ড করা হয় ছয় তৃণমূল সাংসদকে। 


গত ২৩ জুলাই রাজ্যসভা থেকে গোটা বাদল অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করা হয় তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনকে! পাল্টা কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে পেগাসাসকাণ্ডে সংসদে মিথ্যা বয়ান দেওয়ার অভিযোগে স্বাধিকারভঙ্গের নোটিস দিল তৃণমূল! বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় পেগাসাস বিতর্কে বিবৃতি দিচ্ছিলেন কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। সেই সময় তাঁর হাত থেকে বিবৃতির কপি টেনে, ছিঁড়ে উড়িয়ে দেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। নিয়মভঙ্গের অভিযোগে ২৩ জুলাই তৃণমূল সাংসদ শান্তনুকে সাসপেন্ড করার জন্য রাজ্যসভায় প্রস্তাব আনেন বিজেপি সাংসদ তথা সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ভি মুরলীধরন। এরপর রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু, তৃণমূল সাংসদকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেন।

এরপর আবার আজ, বুধবার আরও ৬ জন তৃণমূল সাংসদ সাসপেন্ড করা হল। তবে তা একদিনের জন্যই। কাল আবার অধিবেশনে অংশ নিতে পারবেন তাঁরা।

মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের কৌশল ঠিক করতে ১৫টি বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে প্রাতরাশ-বৈঠক করেন রাহুল গাঁধী। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল সাংসদরাও। বৈঠকের পর অভিনব উপায়ে রাহুল ও বিরোধী সাংসদরা জ্বালানির দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদ জানান। দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাব থেকে তারা সাইকেলে যান সংসদে।


অন্যদিকে, আজ ধুতি-পাঞ্জাবি পরে বাংলায় শপথ নিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার।