UP Election 2022 :  উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে ভোট গণনা চলছে। ইতিমধ্যেই প্রবণতাও আসছে। ভোট গণনার প্রবণতা অনুযায়ী, রাজ্যে ফের ক্ষমতায় আসতে চলেছে বিজেপিই। এখনও পর্যন্ত প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, উত্তরপ্রদেশে ২৬৭ আসনে এগিয়ে বিজেপি। গতবারের চেয়ে কিছুটা বেশি আসনে এগিয়ে সমাজবাদী পার্টি। কিন্তু  অখিলেশ যাদবের দল বিজেপির থেকে বহু পিছিয়ে। গণনার প্রবণতায় বিজেপি রাজ্যের লখিমপুর খেরিতেও দুর্দান্ত ফল করেছে। এই লখিমপুর খেরিতেও গাড়ির ধাক্কায় চার কৃষককে পিষে মারার অভিযোগ উঠেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনির ছেলের বিরুদ্ধে। সেই জেলাতেই বিজেপির দুরন্ত পারফরম্যান্স তাক লাগিয়ে দিয়েছে। এই জেলার অধিকাংশ আসনেই এগিয়ে গেরুয়া শিবির। তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বছর ব্যাপী কৃষক আন্দোলন বিজেপির বিরুদ্ধে যেতে পারে বলে রাজনৈতিক মহলের একাংশ অনুমান করেছিল। কিন্তু গণনার প্রবনতা অনুযায়ী,  বিজেপির শক্তিক্ষয় হলেও সরকারে ফেরার ক্ষেত্রে তা বাধা তৈরি করতে পারেনি বলেই মনে করা হচ্ছে।  উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা ভোটের ফলাফলের এই প্রবণতা সম্পর্কে ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের নেতা রাকেশ টিকায়েত বলেছেন, কারুর না কারুর সরকার তো হবে। আমাদের কাজ আন্দোলন করা। এই আন্দোলনের কারণেই সমস্ত রাজনৈতিক দল কৃষকদের কর্মসূচিতে রাখতে বাধ্য হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলি যাতে কৃষকদের উপেক্ষা না করতে পারে, তা নিশ্চিত করাই আমাদের কাজ। 


পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে বিজেপির ভালো ফল সম্পর্কে রাকেশ টিকায়েত বলেছেন, মানুষ ভোট দিয়েছে। কী হচ্ছে, সে বিষয়ে কিছু জানা নেই। এটা তো মেশিনের ভোট। এখন নির্বাচন ব্যালটে হওয়া উচিত। 


পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে ৫০ শতাংশ আসনে বিজেপির এগিয়ে থাকা সম্পর্কে প্রতিক্রিয়ায় রাকেশ টিকায়েত পাল্টা প্রশ্ন করেছেন, এতে গিয়ে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চয়তা আইন আসবে, বিদ্যুতের দাম কমবে?


রাকেশ টিকায়েত এভাবে ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন তোলায় বিজেপির মুখপাত্র অমিত মালব্য বলেছেন, ভোটে হারলেই ইভিএমকে দোষারোপ করে বিরোধীরা। তিনি বলেছেন, উত্তরপ্রদেশের ভোটে কৃষি আইন প্রত্যাহারের ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। অমিত মালব্য আরও বলেছেন, পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের মানুষ গোষ্ঠী হিংসা ও আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থার ইস্যু ভুলে যায়নি। তিনি আরও বলেছেন, মানুষের কাছে সরকারি প্রকল্পের সুযোগ পৌঁছেছে। এ সবেরই ফল দেখা গিয়েছে ভোট-বাক্সে। 


উল্লেখ্য়, ভোট গণনার প্রবণতা অনুযায়ী, পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে ১৩৬ আসনের মধ্যে ৮৪ টিতে বিজেপি এগিয়ে। সমাজবাদী পার্টি এগিয়ে ৪৩ আসনে। বিএসপি ৪ ও কংগ্রেস ১ আসনে এগিয়ে।