চণ্ডীগড়: স্ত্রীর অজ্ঞাতে টেলিফোন কথাবার্তা রেকর্ড করা তাঁর ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ভঙ্গের সামিল। সম্প্রতি একটি মামলায় পর্যবেক্ষণে এমনই মন্তব্য করল পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট। আদালত একটি মামলার শুনানিতে বলেছে, স্ত্রীকে না জানিয়ে টেলিফোনে তাঁর সঙ্গে কথাবার্তা রেকর্ড করা তাঁর ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন এবং সেই রেকর্ড কোনওভাবেই আদালতে প্রমাণ হিসেবে পেশ করা যায় না। একটি বিবাহবিচ্ছেদ মামলার শুনানিতে বিচারপতি লিসা গিলের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ পর্যবেক্ষণে এই মন্তব্য করেছে।


বিবাহবিচ্ছেদ মামলায় পারিবারিক আদালতে এক মহিলা ও তাঁর স্বামীর টেলিফোনে কথোপকথন প্রমাণ করার অনুমতি তাঁর স্বামীকে দেওয়া হয়। সেই নির্দেশকেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ওই মহিলা। 


পারিবারিক আদালত স্ত্রীর বিরুদ্ধে নিষ্ঠুরতার অভিযোগ প্রমাণের অনুমতি স্বামীকে দিয়েছিল। হাইকোর্টের বেঞ্চ অবশ্য বলেছে, এভাবে স্ত্রীর  অজ্ঞাতে টেলিফোনে কথোপকথন রেকর্ড করা তাঁর মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের সামিল। 


পারিবারিক আদালতের নির্দেশ খারিজ করে হাইকোর্ট বলেছে যে, একথা অস্বীকার করা যাবে না, যে সিডি-কে ঘিরে প্রশ্ন  উঠেছে, তা গ্রহণ করা পিটিশনকারী স্ত্রীর মৌলিক অধিকার ভঙ্গের সামিল। বিভিন্ন বিচারবিভাগীয় ঘোষণায় ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকারকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। 
হাইকোর্টে পিটিশন দায়ের করে ওই মহিলা বলেন যে, তাঁর ও তাঁর স্বামীর মধ্যে বিবাদ চলছে। তাঁর স্বামী ২০১৭-তে ভাতিণ্ডা পারিবারিক আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেন।   আবেদনে ওই মহিলা বলেন যে, মামলায় তাঁর সঙ্গে টেলিফোনে কথাবার্তার রেকর্ডিং তাঁর স্বামী প্রমাণ হিসেবে পেশ করার অনুমতি জানান। পারিবারিক আদালতে সেই কথোপথন প্রমাণের অনুমতি দেওয়া হয়। 


শুরুতে, আদালত মত প্রকাশ করেছিল,  যে সিডিকে ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে, সেটিকে প্রমাণ হিসেবে অনুমতি দেওয়া যায় না। নিষ্ঠুতার অভিযোগ সংক্রান্ত যে বিবৃতিগুলি পেশ করতে চাওয়া হয়েছে, সেগুলি প্রমাণ করার অনুমতি দেওয়া গেলেও ওই সিডির ক্ষেত্রে তা করা যেতে পারে না। 
 শেষপর্যন্ত আদালত ওই মহিলার আর্জি গ্রহণ করে এবং পারিবারিক আদালতের নির্দেশ খারিজ করে দেয়।