ব্যাঙ্কক: এক-দুটো নয়। একসঙ্গে শতাধিক বন্যপ্রাণী (wild animal) পাচারের (smuggling) চেষ্টায় অভিযুক্ত দুই ভারতীয় (indian) তরুণী গ্রেফতার তাইল্যান্ডে (thailand)। চলতি সপ্তাহের গোড়ার দিকে ঘটনাটি ঘটেছে। ফেসবুকে সবটা জানিয়ে পোস্ট করে তাইল্যান্ড ডিপার্টমেন্ট অফ ন্যাশনাল পার্কস, ওয়াইল্ডলাইফ অ্যান্ড প্লান্ট কনসার্ভেশন।
কী অভিযোগ?
বন্যপ্রাণী পাচারের ঘটনায় নিত্যা রাজা এবং জাকিয়া সুলতানা এব্রাহিম নামে দুই ভারতীয় তরুণীর বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে তাইল্য়ান্ড প্রশাসন। দাবি,শজারু, কচ্ছপ, সাপের মতো একশোরও বেশি বন্যপ্রাণী নিয়ে 'তাই এয়ারওয়েজের' বিমানে চেন্নাই ফিরতে চেয়েছিলেন দুজন। কিন্তু ব্যাংকক বিমানবন্দরে তাঁদের দুটো সুটকেস যখন এক্স-রে চেকিং হয়, তখনই সবটা ফাঁস হয়ে যায়। সে দেশের বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইন ভাঙার অভিযোগে দুজনকেই তৎক্ষণাৎ গ্রেফতার করে তাই প্রশাসন।
কী হাল বন্যপ্রাণীদের?
সূত্রের খবর, দুই তরুণী যে কটি বন্যপ্রাণী চোরাচালানের চেষ্টায় ছিলেন তার মধ্যে দুটি ইগুয়ানা-র মৃত্যু হয়। শরীরে জলের পরিমাণ কমে গিয়ে বাকি সরীসৃপগুলির অবস্থা অত্যন্ত কাহিল হয়ে যায়। তাদের উদ্ধার করে যথাযথ ভিটামনি সাপ্লিমেন্ট দেওয়া হয়েছে। পরে বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ দফতরে রেখেও দিয়ে আসা হয় প্রাণীগুলিকে।
বন্যপ্রাণী চোরাচালান করে দুই অভিযুক্ত কী করতে চাইছিলেন, এখনও স্পষ্ট নয়। তবে এই ধরনের ঘটনা আগেও ঘটেছে ব্যাংকক বিমানবন্দরে নতুন নয়। গত মাসে আবার চেন্নাই বিমানবন্দরে এমন দুটো ঘটনা ঘটে যেখানে তাইল্যান্ড থেকে বন্যপ্রাণী চোরাচালান হচ্ছিল বলে খবর। এর মধ্যে একটি ঘটনায় এক যাত্রীর লাগেজ থেকে অ্যালবিনো-পরকুপাইন বা বিশেষ প্রজাতির শজারু এবং বিশেষ প্রজাতির বাঁদর উদ্ধার হয়। ওই যাত্রী ব্যাংকক থেকে চেন্নাই বিমানবন্দরে এসেছিলেন বলে দাবি। আর একটি ঘটনা ২০১৯ সালের। সে বার এক যাত্রীর লাগেজ থেকে চার মাসের একটি লেপার্ড উদ্ধার করেছিলেন কাস্টমস আধিকারিকরা। এই যাত্রীও ব্যাংকক থেকে চেন্নাই আসেন বলে শোনা যায়।
আরও পড়ুন:অমরনাথ-যাত্রাপথের কাছে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ, হত সন্দেহভাজন জঙ্গি