India's 73rd Republic Day: দেশজুড়ে ৭৩ তম প্রজাতন্ত্র দিবস পালন। ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসের উদযাপন উপলক্ষে এবারের প্রজাতন্ত্র দিবসে থাকছে একাধিক চমক। দিল্লির রাজপথে ন্যাশনাল ক্যাডেট কর্পসের অংশগ্রহণ শহিদোঁ কো শত শত নমন অনুষ্ঠানে। কুচকাওয়াজে ৭৫টি বিমান অথবা হেলিকপ্টারের গ্র্যান্ড ফ্লাইপাস্ট। এছাড়াও, প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে বর্ণাঢ্য কলাকুম্ভ অনুষ্ঠানের আয়োজন। নৃত্য পরিবেশনে ৪৮০ জন শিল্পী।  সবমিলিয়ে প্রতি বছরের মতো এবারও দিল্লির রাজপথে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিত্বদের উপস্থিতিতে দেশের শৌর্য ও সংস্কৃতির নজরকাড়া প্যারেড হচ্ছে। 


১৯৫০-এর ২৬ জানুয়ারি স্বাধীন ভারতের সংবিধান কার্যকর হয়েছিল। যদিও এর আগেই ১৯৪৯-এর ২৬ নভেম্বর সংবিধান গৃহীত হয়েছিল। ১৯৫০-এ গণতান্ত্রিক পথে যাত্রা শুরু করে ভারত। দিল্লির রাজপথে প্যারেড ও বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান দেখতে দেশের প্রতিটি প্রান্ত থেকে মানুষ আসেন। দেখে নেওয়া যাক, রাজপথের কিছু ইতিহাস ও প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেড কবে থেকে শুরু হল?


১৯৫০-র ২৬ জানুয়ারি ছিল বৃহস্পতিবার। ওই দিন ভারতীয়দের এক গৌরবোজ্জল দিনের সূচনা হয়েছিল। রাজপথ দেশের প্রথম প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডের সাক্ষী হয়েছিল। স্বাধীনতার আগে ইংরেজ আমলে এই পথ কিংসওয়ে নামে পরিচিত ছিল। এই পথে যাতায়াত ছিল ইংরেজ শাসকদের। ১৯৪৭-এ স্বাধীনতা লাভ করে ভারত। ১৯৫৫-তে কিংসওয়ে হয়ে ওঠে ভারতের রাজপথ। 


দেশের প্রথম ভারতীয় গভর্নর জেনারেল চক্রবর্তী রাজাগোপালাচারী ১৯৫০-র ২৬ জানুয়ারি সকাল ১০.১৮ টায় ভারতকে সার্বভৌম গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করেন। এই ঘোষণায় ৬ মিনিট পর ডক্টর রাজেন্দ্র প্রসাদ ভারতীয় গণতন্ত্রের প্রথম রাষ্ট্রপতি পদে শপথ গ্রহণ করেন। দিল্লিতে রাজপথে প্রতি বছর প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেড হয়। কিন্তু প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রথম প্যারেড রাজপথে হয়নি।  ১৯৫০-এর প্রথম প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেড হয়েছিল আরউইন স্টেডিয়ামে, যা এখন ন্যাশনাল স্টেডিয়াম নামে পরিচিত। 


১৯৫০ থেকে ১৯৫৪ অর্থাৎ চার বছর পর্যন্ত প্রজাতন্ত্র দিবস আরউইন স্টেডিয়াম, কিংসওয়ে ক্যাম্প থেকে লালকেল্লা ও রামলীলা ময়দান পর্যন্ত আয়োজিত হত। ১৯৫৫ থেকে ২৬ জানুয়ারির প্যারেডের স্থায়ী ঠিকানা হয়ে ওঠে রাজপথ। রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে ইন্ডিয়া গেট পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার নতুনভাবে সেজে ওঠে। এখন রাজপথের রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে ইন্ডিয়া গেট পর্যন্ত প্রথম প্রসারণ সম্পন্ন, যা সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের অন্তর্গত। রাজপথের রং বদলেছে, কিন্তু রূপ বদলায়নি। রাজপথের দুই ধার ৬-৬ ফুট করে চওড়া করা হয়েছে। তবে রাজপথ আগে যেমন দেখতে ছিল, তেমনই থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।