নয়াদিল্লি : পুলিশ হেফাজতে আত্মহত্যার চেষ্টা রোহিণী আদালতে বিস্ফোরণকাণ্ডে ধৃত অভিযুক্তের। ৯ ডিসেম্বর, শুনানি চলাকালীন রোহিণী আদালতে (Rohini court )বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণকাণ্ডে শুক্রবার ডিআরডিও-র(Defence Research and Development Organisation ) বিজ্ঞানী ভারতভূষণ কাটারিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশের দাবি, জেরায় বয়ান বদল করে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন ওই বিজ্ঞানী। গতকাল তিনি লিক্যুইড সোপ খেয়ে খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে পুলিশের দাবি। বর্তমানে দিল্লির এইমসে ভর্তি অভিযুক্ত। তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ভারত ভূষণ কাটারিয়ার ( Bharat Bhushan Kataria)বয়স ৪৭। এইমস-এ চিকিৎসাধীন তিনি। সূত্রের খবর, তিনি এখন সম্পূর্ণ স্থিতিশীল। ডিআরডিও বিজ্ঞানীকে ৯ ডিসেম্বর রোহিণী আদালতের ভিতরে একটি টিফিন বক্সে একটি ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) লাগানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। জানা গিয়েছে, তিনি তাঁর প্রতিবেশীকে হত্যা করার অভিপ্রায়ে কাজটি করেন। ওই পড়শি তাঁর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের করেছিলেন । সেদিন আদালতেই ছিলেন।
আরও পড়ুন:
সিসি ক্যামেরার নজরদারি, মোতায়েন কমব্যাট ফোর্স, ভোটগণনার জন্য কীভাবে তৈরি হচ্ছে স্ট্রং রুম?
৯ ডিসেম্বর ঘড়ির কাঁটা তখন সবে সাড়ে দশটা পেরিয়েছে। রোহিণী আদালত চত্বরে চরম ব্যস্ততা তখন। ১০২ নম্বর কোর্টরুমে শুরু হয়ে যায় শুনানি। বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীন, আচমকা কানফাটা আওয়াজে কেঁপে ওঠে ১০২ নম্বর কোর্টরুম। লুটিয়ে পড়েন দিল্লি পুলিশের এক কনস্টেবল। তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে আদালতে। আদালত থেকে বেরোতে রীতিমতো হুড়োহুড়ি পড়ে যায়।
এরপরই সবার চোখে পড়ে আদালতকক্ষের মধ্যে, একটি কালো রঙের ল্যাপটপ ব্যাগ। পাশে ছড়িয়ে সাদা রঙের পাউডার! ব্যাগ থেকে বেরিয়ে ছিল তার, ব্যাটারি। কীভাবে নজরদারি এড়িয়ে রোহিণী আদালতে এতবড় ঘটনা ঘটল? তা নিয়ে দিল্লি পুলিশ মুখ না খুললেও, তদন্তকারীদের দাূবি, ব্যাগে টিফিনবক্সের মধ্যে ছিল বোমা। দেখতে ক্রুড বোমার মতো হলেও এটি ছোট IED। তবে তা, ঠিকমতো তৈরি ছিল না।