নয়া দিল্লি : ফের একবার ধস নামল টাকার দরে (Indian Rupee Record Low)। বৃহস্পতিবার সকালে বাজার খোলার সঙ্গে সঙ্গে মার্কিন ডলারের (US Dollar) সাপেক্ষে টাকার দাম ৭৭ টাকা ৮১ পয়সায় ঠেকেছে। অপরিশোধিত তেলের মূল্যবৃদ্ধি এবং মূল্যস্ফীতির চাপ বৃদ্ধির মধ্যে ইক্যুইটি বাজারে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের ক্রমাগত বিক্রির জেরে এই পতন টাকার।


আন্তঃব্যাঙ্ক বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে, আংশিকভাবে রূপান্তরযোগ্য রুপি ১৩ পয়সা কমে মার্কিন ডলারের পরিপ্রেক্ষিতে রেকর্ড সর্বনিম্ন ৭৭ টাকা ৮১ পয়সা ছুঁয়েছে। এর আগে গত ১৭ মে টাকার দরে ধস নামে । সেবার বাজার খোলার সঙ্গে সঙ্গেই মার্কিন ডলারের (US Dollar) সাপেক্ষে টাকার দাম ৭৭ টাকা ৭৪ পয়সায় গিয়ে ঠেকে।


আরও পড়ুন ; বাজার খুলতেই জোর ধাক্কা, টাকার দামে সর্বকালীন পতন


কোথায় দাঁড়িয়ে টাকার দর ?


বুধবার, রুপি মার্কিন ডলারের সাপেক্ষে ১০ পয়সা বৃদ্ধি পেয়ে ৭৭.৬৮-এ বন্ধ হয়। অপরিশোধিত তেলের দামের সাম্প্রতিক ঊর্ধ্বগতি এবং মুদ্রাস্ফীতির চাপে রুপির মূল্য হ্রাস পেয়েছে। এদিকে মুদ্রাস্ফীতি ভারতের নীতিনির্ধারকদের প্রধান মাথা ব্যথা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। অপরিশোধিত তেলের উচ্চ হারে দাম আমদানিকৃত মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির উদ্বেগ তৈরি করছে। বুধবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই) চলতি আর্থিক বছরের জন্য মূদ্রাস্ফীতি ৫.৭ শতাংশ থেকে ৬.৭ শতাংশ পূর্বাভাস দিয়েছে। মুদ্রানীতি কমিটির (MPC) বৈঠকের পর RBI-এর নতুন অনুমান অনুসারে, ২০২২-২৩ সালের প্রথম তিন ত্রৈমাসিকের জন্য মুদ্রাস্ফীতি কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের সর্বোচ্চ সহনশীলতার সীমা ৬ শতাংশের বেশি থাকতে পারে।


রেপো রেট- 


এদিকে কানাঘুষোয় শোনা যাচ্ছিল বেশ কয়েক দিন ধরেই। সেই আশঙ্কা সত্যি করে এ বার রেপো রেট ৫০ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি করেছে (RBI Repo Rate) রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (Reserve Bank of India)। ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির (Inflation) জেরেই এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে বলে জানিয়েছে RBI। কিন্তু তাদের এই সিদ্ধান্ত সাধারণ মানুষের জীবনে বড় প্রভাব ফেলতে চলেছে। কারণ RBI-এর রেপো রেট বৃদ্ধির পর সরকারি-বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলির সুদের হার বৃদ্ধি সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা। এর ফলে গৃহঋণ গ্রহীতাদে কাঁধে EMI-এর বোঝা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা তাঁদের (Home Loans)।