নয়াদিল্লি: মূল্যবৃদ্ধি (Price Hike) পৌঁছে গিয়েছে চরম সীমায়। ভারতের বাজার থেকে বিনিয়োগ তুলে নিচ্ছে বিদেশি সংস্থাগুলি। সেই পরিস্থিতিতে ফের একবার স্রবকালীন ধস নামল টাকার দরে (Indian Rupee Record Low)। মঙ্গলবার সকালে বাজার খোলার সঙ্গে সঙ্গেই মার্কিন ডলারের (US Dollar) সাপেক্ষে টাকার দাম ৭৭ টাকা ৭৪ পয়সায় গিয়ে ঠেকেছে। টাকা এর আগে কখনও এত নীচে নামেনি।  ফলে নতুন করে সুদবৃদ্ধির আশঙ্কা মাথাচাড়া দিচ্ছে। একই সঙ্গে একনাগাড়ে টাকার দাম পড়ায় সিঁদুরে মেঘ অর্থনীতির আকাশে (Indian Economy)। তাঁদের মতে,  এর ফলে অপরিশোধিত তেল এবং কাঁচামাল আমদানির খরচ আরও বাড়বে। তার জেরে মূল্যবৃদ্ধির ফাঁস আরও শক্ত হয়ে বসবে আম আদমির গলায়।


রেকর্ড পতন টাকার দামে


এর আগে, শুক্রবার বাজার বন্ধের সময় টাকার দর ছিল ৭৭ টাকা ৪৫ পয়সা। সোমবার বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে বিদেশি মুদ্রা বিনিময় বাজার বন্ধ ছিল। মার্চ মাসেই সর্বপ্রথম ডলার প্রতি টাকার দাম ৭৭ টাকায় পৌঁছয়।  বিদেশি বিনিয়োগকারীরা লগ্নি তুলে নিতে শুরু করায়, এই মুহূর্তে দেশীয় বাজারে নগদের জোগানের দিকেই তাকিয়ে ব্যবসায়ী মহল।


অন্য দিকে, বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে মঙ্গলবারই নথিভুক্ত হয়েছে ভারতীয় জীবন বিমা (LIC IPO)। এলআইসি আইপিও-র জন্য এর আগে শেয়ার প্রতি দর রাখা হয়েছিল ৯৪৯ টাকা। মঙ্গলবার ৮.৬২ শতাংশ ছাড় দিয়ে, তা কমিয়ে করা হয়েছে ৮৬৭ টাকা ৩০ পয়সা। 



আরও পড়ুন: SBI Loan Interest Rate Increased : ঋণ নিয়ে বাড়ি-গাড়ি কেনার প্ল্যান? ইএমআই-বৃদ্ধির পথে এই ব্যাঙ্ক


তবে ৯ মে এলআইসি আইপিও-র সাবস্ক্রিপশন বাজারে আসার পর বিমা সংস্থার প্রিমিয়ামে গ্রে মার্কেটে ৭০ শতাংশ পতন লক্ষ্য করা গিয়েছে। তার জেরেই নির্ধারিত দামের তুলনায় শেয়ারের দাম আরও সস্তা করা হয়েছে।, শুরু থেকেই যার আশঙ্কা করছিলেন অর্থনীতিবিদরা। গ্রে মার্কেটে বিভিন্ন সংস্থা শেয়ারের দর হাঁকে, যা কিনা স্টক এক্সচেঞ্জে সংশ্লিষ্ট সংস্থার নাম নথিভুক্ত হওয়ার আগেই সারা হয়।


এলআইসি-র শেয়ার আরও সস্তা


অন্য দিকে, মুদ্রাস্ফীতি, মূল্যবৃদ্ধিতে রাশ টানতে সম্প্রতিই রেপো রেট বাড়িয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। তার পরেও টাকার পতন অব্যাহত। তাই নতুন করে ফের রেপো রেট বাড়ানো হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিগত আট বছরে খুচরো মুদ্রাস্ফীতি সর্বোচ্চে গিয়ে ঠেকেছে। জুন মাসে ফের বৈঠক হতে চলেছে। সেখানে রেপোরেট ৪.৭৫ শতাংশ হারে রেপো রেট বাড়ানো হতে পারে বলে অর্থনীতিবিদদের সমীক্ষায় পূর্বাভাস মিলেছে।