কলকাতা : আগামীকাল ত্রিপুরায় (Tripura) পুরভোট। তার আগেই দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে সে-রাজ্যে গিয়েছিলেন তৃণমূলের যুবনেত্রী সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh)। সেখানে তাঁকে গ্রেফতারও হতে হয়। অবশেষে সোমবার জামিন পেয়ে মঙ্গলবার কলকাতা ফেরেন তিনি। সায়নীর গ্রেফতারি নিয়ে  তুঙ্গে রাজনৈতিক চাপানউতোর। এরই মধ্যে ফেসবুকে সায়নী পোস্ট করে জানালেন তিনি দমে যাওয়ার পাত্রী নন। তিনি লিখলেন, 'আমি মশাল ধরেছি শুধু।। অগণতান্ত্রিক ভাবে মা মাটি মানুষের আত্মসম্মানে আঘাত করতে চেয়েছিল যারা, তারা আসলে বোঝে নি আমাদের লড়াই এত সহজে দমিয়ে দেওয়া যায় না, যায় নি অতীতে, যাবে না ভবিষ্যতেও!


যুব তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষ মঙ্গলবার রাতে সায়নী রাজ্যে ফেরেন। তিনি বলেন, ' ত্রিপুরায় জঙ্গলরাজ চলছে। সেখানে কোনও মানুষই নিরাপদে নেই। সামগ্রিক পরিস্থিতিতে তিতিবিরক্ত ত্রিপুরাবাসী বিপ্লব দেব সরকারকে উৎখাত করতে চাইছে। '


এই প্রসঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, প্রার্থীই তো দিতে পারেনি, তাহলে কীকরে লড়বে তৃণমূল?

সায়নী আজ ফেসবুক পোস্টে লেখেন, 'সকলের প্রার্থনায়, ভালোবাসায় আজ আরও উদ্যমে এগিয়ে যাওয়ার সাহস পেলাম এটুকু বলতে পারি।। ধন্যবাদ জানাই সেই প্রত্যেক জন মানুষকে, যারা বিজেপির এই স্বৈরাচারে আহত হয়েও হার মেনে নেন নি! একান্ত ধন্যবাদ জানাই মাননীয়া মুখ্য মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে, তাদের সহযোগিতা আমার এগিয়ে চলার সাহস।'


 




আগরতলায় রবিবার গ্রেফতার করা হয় যুব তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষকে। খুনের চেষ্টার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করে ত্রিপুরা পুলিশ। সোমবার ত্রিপুরা যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ওইদিনই দিল্লিতে ধর্নায় বসেন তৃণমূলের সাংসদরা। শনিবার রাতে আগরতলায় প্রচার সেরে ফিরছিলেন সায়নী ঘোষ, সুস্মিতা দেব, সুদীপ রাহারা। গাড়িতে চালকের পাশে বসেছিলেন সায়নী ঘোষ। সায়নী ঘোষের ট্যুইট করা ভিডিওতেই দেখা গেছে, রাস্তার পাশে এক জায়গায়, সভামঞ্চে ভাষণ দিচ্ছিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। পাশ দিয়ে যাওয়ার সময়, সভা নিয়ে কটাক্ষ করেন সায়নী। এরপর গাড়ি থেকেই খেলা হবে স্লোগান দেন যুব তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী। এরপরই সায়নী ঘোষের গাড়ি ধাওয়া করেন বিজেপি কর্মীরা। এরপর সায়নীর ট্যুইট করা ভিডিওতে গাড়িতে আঘাতের শব্দ শোনা যায়। শনিবার রাতেই সায়নীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে বিজেপি। রবিবার থানায় দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়। এরপর সোমবার জামিন পান সায়নী।