লখনউ: আঞ্চলিক দলগুলিকে এক সুতোয় বেঁধে হাত শক্ত করার বার্তা দিয়েছিলেন আগেই। সেই লক্ষ্যে অনেকটাই সফল সমাজবাদী পার্টির (Samajwadi Party/SP) অখিলেশ যাদব (Akhilesh Yadav)। শাসকদল বিজেপি-র (BJP) দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে এ বার প্রথম প্রার্থিতালিকাও প্রকাশ করে দিলেন তিনি। রাষ্ট্রীয় লোক দলের (RLD) সঙ্গে মিলে ২৯ আসনে প্রার্থীর নাম সামনে নিয়ে এলেন।


শুক্রবার এসপি এবং আরএলডি-র তরফে যে ২৯টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল কৈরানা, মেরঠ, বাগপত, হাপুড়, জৈবর, বুলন্দশহর, আলিগড়, ফতেপুর সিকরি। এর মধ্যে ১৯টি আসনই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে আরএলডি-কে। অখিলেশের দলের দাবি, ‘সমাজবাদী পার্টি-রাষ্ট্রীয় দলের জোটবন্ধন, উত্তরপ্রদেশে আনবে পরিবর্তন।’


এ দিন সকালেই আরএলডি-তে যোগ দেন রাজপাল সিংহ সাইনি। তাঁকে খাটাউলি থেকে প্রার্থী করেছে আরএলডি। বিজেপি থেকে বুধবার আরএলডি-তে যোগ দেন অবতার সিংহ ভডানা। তাঁকে জেবর আসনটিতে দাঁড় করিয়েছে আরএলডি। এ দিন যে ২৯ জনের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, তাতে একমাত্র মহিলা প্রার্থী আরএলডি-র ববিতা দেবী। বলদেব-এ দাঁড় করানো হয়েছে তাঁকে।



আরও পড়ুন: UP Election 2022: এবার যোগী মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা ধরম সিংহ সাইনির, 'মেলা হবে' সাক্ষাতের পর ট্যুইট অখিলেশের


প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর আরএলডি প্রধান জয়ন্ত চৌধরি টুইটারে লেখেন, ‘জোটের প্রত্যেক নেতা একজোট হয়ে প্রার্থীকে জেতানোর জন্য কাজ নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করবেন। এক এক জন বিধায়কের মাধ্যমেই আপনাদের বিধানসভা এবং সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।’’


এ দিন প্রকাশিত তালিকার মধ্যে আগরা গ্রামীণ, আগ্রা ক্যান্টনমেন্ট, বলদেব, খৈর, পুরকাজি, হাপুড় তফসিলি জাতি সংরক্ষিত আসন। এই সব ক’টি আসনই উত্তরপ্রদেশের পশ্চিম অংশে পড়ে।আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি প্রথম দফার নির্বাচনেই সেখানে ভোটগ্রহণ। ১০ মার্চ ভোটের ফলাফল ঘোষণা।


এর আগে, ২০১৭-য় ক‌ংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে লড়েছিলেন অখিলেশ। কিন্তু গেরুয়া ঝড়ে সে বার ক্ষমতায় আসা তো দূর, ম্যাজিক সংখ্যা থেকে অনেক দূরে থামতে হয়েছিল তাঁকে। এমনকি আসন ভাগাভাগি নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্কও তিক্ত হয়েছিল। তার পরই কংগ্রেসের মতো বড় দলের সঙ্গে জোটে না গিয়ে, ছোট ছোট দলগুলিকে একত্রিত করার সিদ্ধান্ত নেন অখিলেশ। 


তবে বিগত কয়েক দিন ধরে এই ছোট দলগুলিকে পাশে নিয়েই বিজেপি-কে একের পর এক ধাক্কা দিয়ে চলেছেন অখিলেশ। স্বামী প্রসাদ মৌর্যের মতো হেভিওয়েট নেতাকে বিজেপি থেকে ভাঙিয়ে এনেছেন তিনি। বিজেপি থেকে একের পর এক নেতা আরএলডি এবং অন্য শিবিরে যোগ দিয়ে চলেছেন। স্বাভাবিক ভাবেই তা বিজেপি-র দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে।