নয়াদিল্লি: ২০০২ সালে গুজরাতের (gujrat) গোষ্ঠী-সংঘর্ষের ঘটনায় সিট (sit) যে তদন্ত করেছিল তার উপর পুরোপুরি আস্থা রয়েছে, আজ ফের জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট (supreme court)। সঙ্গে নিহত কংগ্রেস নেতা এহসান জাফরির স্ত্রী জাকিয়া জাফরির (Zakia Jafri) আর্জিও খারিজ করল বিচারপতি এ এম খানউইলকরের বেঞ্চ। গোটা বিষয়টিতে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কংগ্রেস নেতার স্ত্রী। তারই প্রেক্ষিতে আজকের পর্যবেক্ষণ।


কী হয়েছিল: 
২০০২ সালের গুজরাতের গোষ্ঠী-সংঘর্ষের ঘটনায় প্রাক্তন মুখ্য়মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-সহ একাধিক ব্যক্তিত্বের নাম আতসকাচের নিচে আসে। যদিও ২০১২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিশেষ তদন্তকারী দল যে চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছিল তাতে মোদী-সহ ৬৪ জনকে ক্লিনচিট দেওয়া হয়। বলা হয়, ওই ৬৪ জনের বিরুদ্ধে এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি যার ভিত্তিতে বিচারপ্রক্রিয়া চলতে পারে। সিটের সেই বক্তব্যেই কার্যত আরও একবার সিলমোহর দিল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি খানউইলকরের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানিয়ে দিল, রিপোর্টটি যে ত্রুটিপূর্ণ এমন ভাবার কারণ পাওয়া যায়নি।  
সিটের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জাকিয়া জাফরির আর্জি ২০১৭ সালের ৫ অক্টোবরই খারিজ করেছিল গুজরাত হাইকোর্ট। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যান হত কংগ্রেস নেত্রী স্ত্রী। কিন্তু তাঁর আবেদন খারিজ করে শীর্ষ আদালতের সংযোজন, এ নিয়ে যদি নতুন কোনও তথ্য বা নথি সামনে আসে তবেই বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের তদন্ত করা যেতে পারে।


ফিরে দেখা: 


প্রসঙ্গত, ২০০২ সালের গুজরাত গোষ্ঠী সংঘর্ষের সময়ে ৯টি ঘটনা নিয়ে তদন্ত করেছিল সিট। এরই অন্যতম ছিল আহমেদাবাদের গুলবার্গ সোসাইটি মামলা। অভিযোগ, ২০০২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি গুলবার্গ সোসাইটি-তে ব্যাপক পাথর ছোড়া হয়। নিদেনপক্ষে ৩৫ জনকে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগও ওঠে। এঁদের মধ্যেই একজন এহসান জাফরি, দাবি পরিবারের।  


আরও পড়ুন: তুঙ্গে উত্তেজনা, মহারাষ্ট্রের সমস্ত পুলিশ স্টেশনে হাই অ্যালার্ট জারি