মুম্বই: ঘোর সঙ্কটে মহা বিকাশ আগাড়ি (mva)। যে কোনও মুহূর্তে সরকার পড়ার আশঙ্কা। কে আসল শিবসেনা (shiv sena), প্রমাণ করতে তুঙ্গে টানাপড়েন। রাত বাড়তেই পরিস্থিতি থমথমে। রাস্তায় নামতে পারতেন শিবসেনা কর্মীরা, খবর এমনই। হাই অ্যালার্ট (high alert) সমস্ত পুলিশ স্টেশনে (police station)। কী হবে এর পর?  


দিনভর যা ঘটল...
মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের গদিকে ভয়ঙ্কর চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছেন একনাথ শিণ্ডে। তাঁর দাবি, শিবসেনার ৩৭ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে তাঁর কাছে। এতেই শেষ নয়। ৯ জন নির্দল বিধায়ক ও বিজেপির ২ বিধায়কও তাঁকে সমর্থন করছেন, জানিয়েছেন শিন্ডে। এই দাবি সত্যি হলে এই মুহূর্তে ৪৮ জন বিধায়ক তাঁর পাশে রয়েছেন। অর্থাৎ অঙ্কের নিরিখে ভীষণ দুর্বল  উদ্ধব ঠাকরে। 
তবে দলে বিদ্রোহ দমন করতে এদিন অনেকটাই কড়া মেজাজে ছিলেন উদ্ধব। আগেই ডেপুটি স্পিকারের কাছে ১২ বিদ্রোহী বিধায়ককে সাসপেন্ড করার আর্জি জানিয়েছেন। আজ আরও চার জনের নাম জোড়ে সেই তালিকায়। পরে জানা যায়, সংখ্যাটি ১৭। তবে শেষমেশ মামলা পৌঁছেছে সুপ্রিম কোর্টে। আগামী ২৯ তারিখ শুনানি। তার আগে দিনভর রণকৌশল ঠিক করতে দফায় দফায় বৈঠক শিবসেনার। 
তবে লাইমলাইটে ছিল সন্ধের বৈঠক। ঠাকরে পরিবারের বাসভবন মাতোশ্রী-তে বৈঠকে বসেন এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার, উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার, মন্ত্রী জয়ন্ত পাটিল-সহ অনেকে। সেখানে কী আলোচনা হয়েছে, পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। তবে আগামিকাল দুপুর ১টায় জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক ডেকেছে শিবসেনা। বৈঠক হওয়ার কথা সেনাভবনে। সেখানে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে হাজির থাকার কথা উদ্ধব ঠাকরের। 


প্রশ্নে বিজেপির ভূমিকা:
গোটা পর্বে বার বার বিজেপির দিকে আঙুল উঠেছে। যদিও বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানান, এতে বিজেপির হাত নেই। পরে শিণ্ডেও দাবি করেন, তাঁদের সঙ্গে কোনও জাতীয় দল যোগাযোগ করেনি। কিন্তু তা হলে সব ছেড়ে বিক্ষুব্ধদের নিয়ে হঠাৎ গেরুয়া-শাসিত অসমে গেলেন কেন বিক্ষুব্ধ বিধায়করা? জল্পনা দানা বাঁধছেই। তবে এসবের মাঝে আগামী চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে বিদ্রোহী বিধায়কদের ফিরে আসার হুঁশিয়ারি দেন উদ্ধব। 


 


আরও পড়ুন: আর আলোচনা নয়, কড়া হাতে বিদ্রোহ দমনের বার্তা শিবসেনা