নয়াদিল্লি: করোনা মামলায় কড়া বার্তা দিল সুপ্রিম কোর্ট। আজ অক্সিজেন সঙ্কট ও করোনা পরিস্থিতি নিয়ে এক মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, মানুষের প্রাণ বাঁচানোর জন্য দরকার মনে করলে আদালত হস্তক্ষেপ করবে।
সেইসঙ্গেই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় জানান, এটা জাতীয় বিপর্যয়। এখন রাজনীতির কাজিয়ার সময় নয়। এখন সকলের উচিত দেশের পাশে দাঁড়ানো। পাশাপাশি, করোনা ভ্যাকসিনের ভিন্ন দাম নিয়েও কেন্দ্রের জবাব তলব করল সুপ্রিম কোর্ট।
এদিন শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট মন্তব্য করে, ‘এখন জাতীয় বিপর্যয়, আদালত নীরব দর্শক হয়ে থাকতে পারে না। মানুষের জীবন বাঁচানোই আদালতের অগ্রাধিকার। আদালত যখনই মনে করবে, তখনই হস্তক্ষেপ করবে।’ সর্বোচ্চ আদালত এ-ও মনে করেছে, ‘হাইকোর্টগুলিরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।’
করোনা ভ্যাকসিনের ভিন্ন দাম প্রসঙ্গে এদিন অসন্তোষ প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট। ‘করোনা ভ্যাকসিনের কেন আলাদা দাম? কেন্দ্রের কাছে সেই জবাব তলব করেছে শীর্ষ আদালত।
পাশাপাশি, করোনা মোকাবিলা নিয়ে কেন্দ্রের পরিকল্পনাও জানতে চায় আদালত। ‘ভ্যাকসিনেশনই কি করোনা মোকাবিলার একমাত্র উপায়? ‘সঙ্কট মোকাবিলায় কেন্দ্রের জাতীয় পরিকল্পনা কী?’ সলিসিটর জেনারেলের কাছে জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট।
আদালত এদিন মনে করিয়ে দেয়, ‘এখন জাতীয় সঙ্কট, কোর্ট রাজনৈতিক তরজার জায়গা নয়। আমাদের সকলকে দেশকে সাহায্য করা উচিত।’
এর আগে, গতকাল, নির্বাচন কমিশনকে তুলোধনা করেছিল মাদ্রাজ হাইকোর্ট। মাদ্রাজ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ বলে, করোনা বিধি উড়িয়ে যখন রাজনৈতিক নেতারা প্রচার করছিলেন, তখন তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি নির্বাচন কমিশন। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য একমাত্র দায়ী তারাই। এই পরিস্থিতির জন্য কমিশনের অফিসারদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু হওয়া উচিত।
এখানেই থেমে থাকেনি মাদ্রাজ হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ হুঁশিয়ারির সুরে বলে, ২ মে গণনার দিন কোভিড প্রোটোকল পালন করার বিষয়ে নির্দিষ্ট ব্লু প্রিন্ট জমা দিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে।
যদি তা না করা হয়, সেক্ষেত্রে ভোটগণনা স্থগিত করে দেওয়া হবে। আপনাদের জন্য সাধারণ মানুষকে ভোগান্তি শিকার হতে দেব না।
মাদ্রাজ হাইকোর্টের এই হুঁশিয়ারির ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এবার নড়েচড়ে বসল নির্বাচন কমিশন। যে পাঁচ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভোট হয়েছে, ভোটের ফল ঘোষণার পর বিশেষ পদক্ষেপ করার জন্য নির্বাচনী আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
কমিশনের তরফে বলা হয়েছে, ২ মে ফল ঘোষণার দিন কোনও বিজয় মিছিল করা যাবে না। রিটার্নিং অফিসারের কাছে সার্টিফিকেট নিতে যাওয়ার সময়, জয়ী প্রার্থীর সঙ্গে সর্বাধিক ২ জন থাকতে পারবেন।