লখনউ: মারাত্মক আকার ধারণ করা করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলায় দেশ। যে কারণে, দেশের গোটা স্বাস্থ্য-ব্যবস্থার ওপর প্রচণ্ড চাপসৃষ্টি হয়েছে। চিকিৎসক থেকে স্বাস্থকর্মী-- সকলেই করোনা রোগীর সেবায় নিরন্তর পরিশ্রম করে চলেছেন।
সকলেই অত্যন্ত মানসিক চাপ নিয়ে দিনরাত কাজ করে চলেছেন। এই পরিস্থিতিতে অনেক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, চিকিৎসা কর্মী ও রোগীর পরিবার-পরিজনদের মধ্যে বিবাদ বেঁধে গিয়েছে।
কিন্তু, উত্তরপ্রদেশের রামপুরে ঘটে গেল অন্য ঘটনা। এখানে জেলা হাসপাতালে কর্মরত এক চিকিৎসক ও নার্সের মধ্য়েই বেঁধে গেল তুমুল ঝগড়া। আর সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে পড়ে নিমেষে।
ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার। ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, প্রথমে ওই চিকিৎসক ও নার্স একে অপরকে চিৎকার করে কথা বলছেন। এরপর একে অপরকে কুকথাও বলছেন। তবে, তাঁদের দুজনের এই বিবাদ চরম আকার ধারণ করে কিছুক্ষণ পরই। সকলের সামনে একে অপরকে চড়-থাপ্পড় মারতে শুরু করেন।
অবাক করার বিষয়, ওই সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন এক পুলিশকর্মী। তিনি শুরু থেকেই দুজনের কথা কাটাকাটি দেখছিলেন। তাঁর সামনেই চলে চড়-থাপ্পড়ের পালা।
কিন্তু, ওই পুলিশকর্মী একেবারেই নীরব দর্শক হয়ে ছিলেন। একবারের জন্যও চিকিৎসক বা নার্সকে প্রশমিত করতে দেখা যায়নি তাঁকে। শেষমেশ, হাসপাতালের অন্যান্য কর্মীরা এই দুজনকে শান্ত করেন।
খবরে প্রকাশ, চিকিৎসা চলাকালীন ওই হাসাপালে এক রোগীর মৃত্যু হয়। এরপর রোগীর পরিজন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বলে ডেথ সার্টিফিকেট দিতে। ওই নার্স যখন বিষয়টি নিয়ে এমার্জেন্সি ওয়ার্ডে কর্মরত ওই চিকিৎসকের কাছে যান, তিনি নার্সকে বলেন, লিখিতভাবে তাঁকে জানাতে।
এতে ওই নার্স ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েন। চিকিৎসকের সঙ্গে তাঁর কথা কাটাকাটি শুরু হয়। যা গড়ায় হাতাহাতিতে। এই ঘটনায় রামপুরের ম্যাজিস্ট্রেট রামজি মিশ্র জানান, তিনি দুজনের সঙ্গেই কথা বলেছেন। দুজনই জানিয়েছেন, প্রচণ্ড চাপের মধ্যে ছিলেন। ম্যাজিস্ট্রেট জানান, এই ঘটনার তদন্ত হবে।