নয়াদিল্লি: বেসরকারি চাকরিতে স্থানীয়দের জন্য ৭৫ শতাংশ সংরক্ষণ (Private Sector Reservation)। হরিয়ানা সরকারের (Haryana Government) এই সিদ্ধান্তের উপর থেকে স্থগিতাদেশ তুলে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। পাঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাই কোর্ট (Punjab and Haryana High Court) রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। বৃহস্পতিবার হাই কোর্টের সেই স্থগিতাদেশ তুলে দিল শীর্ষ আদালত। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হাই কোর্টকে।


একই সঙ্গে মনোহরলাল খট্টর সরকারকেও সংরক্ষণ নিয়ে কড়াকড়ি থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। বলা হয়েছে, হাই কোর্টের চূড়ান্ত রায় না আসা পর্যন্ত এ নিয়ে কোনও বেসরকারি সংস্থার বিরদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না হরিয়ানা সরকার। সংরক্ষণের নিয়ম মানার জন্য জোর জবরদস্তি করা যাবে না কারও সঙ্গে। অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ঝাড়খণ্ডে সংরক্ষণ সংক্রান্ত যে মামলাগুলি ঝুলে রয়েছে, সেগুলি নিজেদের এক্তিয়ারে আনার পক্ষেও এ দিন সওয়াল করতে শোনা যায় শীর্ষ আদালতকে।


গত বছর নভেম্বরে হরিয়ানা সরকার রাজ্য নাগরিক কর্মসংস্থান আইন ২০২০ পাশ করায়। তার আওতায় বেসরকারি চাকরিতে রাজ্যের নাগরিকদের ৭৫ শতাংশ সংরক্ষণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সর্বোচ্চ মাসিক ৩০ হাজার বেতনের চাকরির জন্য এই সংরক্ষণের ব্যবস্থা করে রাজ্য।


আরও পড়ুন: Bappi Lahiri Passes Away: চোখের জলে বিদায় জানাল মুম্বই, চিতায় অগ্নিসংযোগ করলেন পুত্র


সেই মতো এ বছর ১৫ জানুয়ারি থেকে সেই আইন কার্যকর হয়। কিন্তু তার বিরুদ্ধে হাই কোর্টে একাধিক জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। তার ভিত্তিতে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্ট আইনটি কার্যকর হওয়ায় স্থগিতাদেশ দেয়। হাই কোর্টের যুক্তি ছিল, এই আইনের পিছনে কৌনও যৌক্তিকতা নেই এবং এই আইনানুগ নয়। হরিয়ানায় বেকারত্বের সমস্যা যে ভাবে বেড়ে চলেছে, তার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত বলে আজালতে যুক্তি দেয় হরিয়ানা সরকার। কিন্তু তাদের এই সিদ্ধান্ত আইনানুগ নয় বলে জানায় হাই কোর্টে।


হাই কোর্টের সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ফেব্রুয়ারির শুরুতে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় হরিয়ানা সরকার। তারা জানায়, রাজ্য সরকারকে নিজের পক্ষ রাখার সময়ই দেয়নি হাই কোর্ট। মাত্র ৯০ সেকেন্ডে দায়সারা করে স্থগিতাদেশ চাপিয়ে দেওয়া হয়। তার পরই হাই কোর্টের স্থগিতাদেশ তুলে দেয় শীর্ষ আদালত। বিষয়টি নিয়ে পূর্ণাঙ্গ শুনানি শেষ করে তবেই চূড়ান্ত রায় ঘোষণার নির্দেশ দেওয়া হয়।