নয়াদিল্লি: নোভাভ্যাক্সের সঙ্গে যৌথভাবে ভ্যাকসিন প্রস্তুতি শুরু করল সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া। এদিন সিরাম ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহে কোভোভাক্স ভ্যাকসিন উৎপাদন শুরু করা হয়েছে। নোভাভ্যাক্সের সঙ্গে যৌথভাবে এই ভ্যাকসিন প্রস্তুত হচ্ছে বলে উল্লেখ করেছে সিরাম ইনস্টিটিউট। পুনের সিরাম ইনস্টিটিউটে এই ভ্যাকসিন উৎপাদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। 


আজ শুক্রবার সিরাম ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে ট্যুইট করে বলা হয়, একটি নতুন মাইল ফলক ছুঁয়ে ফেললাম। চলতি সপ্তাহে কোভোভ্যাক্সের প্রথম দফায় উৎপাদন শুরু হয়েছে। নোভাভ্যাক্সের সঙ্গে যৌথভাবে এই ভ্যাকসিন প্রস্তুত করা হচ্ছে পুনেতে।



সূত্রের খবর, অগাস্ট থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ২০ কোটি ভ্যাকসিন প্রস্তুত হবে ভারতে। যদিও এখনও পর্যন্ত এই ভ্যাকসিন ব্যবহারে অনুমোদন দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। এদিকে আগেই নোভাভ্যাক্সের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে যাঁরা অংশ নিয়েছেন তাঁদের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, করোনা সংক্রমণে প্রতিরোধী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে এই ভ্যাকসিন। তারা উল্লেখ করেছে নোভাভ্যাক্স ভ্যাকসিন যাঁদের উপসর্গ রয়েছে তাঁদের ক্ষেত্রে ৯০ শতাংশ কার্যকরী। সামান্য উপসর্গ যাঁদের রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ কার্যকরী। তারা আরও জানিয়েছে,  করোনার নতুন প্রজাতির থেকে সংক্রমণ রুখতে ৯৩ শতাংশ কার্যকরী এই ভ্যাকসিন। শেষ ধাপের ট্রায়ালে এই ফল পাওয়া গিয়েছে দাবি করা হয় নোভাভ্যাক্সের তরফে। এবার সেই ভ্যাকসিন উৎপাদন শুরু হল পুনের সিরাম ইনস্টিটিউট।


করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেসামাল দেশ। এরইমধ্যে ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্টের হদিশ মিলেছে।  আছড়ে পড়তে পারে তৃতীয় ঢেউও। এমন আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এই আবহে বেড়েছে ভ্যাকসিনের চাহিদাও। এই ভ্যাকসিনের উৎপাদন প্রসঙ্গে সিরামের সিইও আদর পুনওয়ালা বলেন, "প্রথম ব্যাচের কোভোভ্যাক্স তৈরি হওয়ার সাক্ষী হতে পেরে উচ্ছ্বসিত। পুনেতে চলতি সপ্তাহে এই ভ্যাকসিন তৈরি শুরু হয়েছে। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাঁদের বয়স এখন ১৮-র নিচে তাঁদের সুরক্ষা দিতে সক্ষম এই ভ্যাকসিন। পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হয়েছে।"