মুম্বই : জিওমার্ট ও হোয়াটসঅ্যাপকে একছাতার তলায় আনার উদ্যোগ। ফেসবুকের সঙ্গে ট্রায়াল রান চালাচ্ছে রিলায়েন্স জিও। সংস্থার বাৎসরিক সাধারণ সভায় একথা জানালেন RIL-এর চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি। 


লক্ষ্য অনলাইন রিটেল মার্কেটে একাধিপত্য। সেই উদ্দেশ্য নিয়েই রিলায়েন্স রিটেল সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট হোয়াটসঅ্যাপে তাদের ই-কমার্স অ্যাপ্লিকেশন জিওমার্টকে যুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে।


হোয়াটসঅ্যাপে জিওমার্টের অন্তর্ভুক্তির জেরে পৌঁছে যাওয়া যাবে ভারতে ৪০ কোটির বেশি হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর কাছে। তাতে অনলাইনে রিটেলে প্রভাব বাড়বে। আর এমনটা হলে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে ফ্লিপকার্ট, অ্যামাজনের মতো সংস্থা। এই মুহূর্তে ভারতে এই দুটি সংস্থা কার্যত একচেটিয়া ব্যাবসা করছে।


২০২০ সালের মে মাসে যাত্রা শুরু হয় জিওমার্টের। ভারতে ১০০-র বেশি শহরে ছড়িয়ে রয়েছে। জিওমার্টে ফল থেকে শাক-সব্জি সবকিছুই পাওয়া যায়। এছাড়া গৃহস্থের ব্যবহারের অন্যান্য জিনিসও মেলে এই অ্যাপের মাধ্যমে। অ্যামাজন ও ফ্লিপকার্টের মতো। 


প্রসঙ্গত, গত বছর ৯.৯ শতাংশ স্টেকের জন্য ফেসবুক রিলায়েন্স রিটেলের সঙ্গে ৫.৭ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি করে। তার পরই জিওমার্ট লঞ্চ করা হয়। চুক্তি অনুযায়ী, জিওমার্টের বিস্তারের জন্য রিলায়েন্সকে সাহায্য করবে হোয়াটসঅ্যাপ। সেইমতো ট্রায়াল রান শুরু হয়েছে বলে আজ জানালেন মুকেশ আম্বানি।


এদিকে ১০ সেপ্টেম্বর বাজারে আসতে চলেছে নতুন জিও ফোন। রিলায়েন্স এবং গুগলের যৌথ উদ্যোগে আসছে এই ফোন। আজ রিলায়েন্সের বার্ষিক সাধারণ সভায় এই ঘোষণা করেন সংস্থার চেয়ারম্যান মুকেশ অম্বানি। জানা গিয়েছে, সাধারণের সাধ্যের মধ্যেই এই ৪জি ফোন পাওয়া যাবে বাজারে। কী থাকছে নতুন এই ফোনে? ঘোষণা অনুযায়ী, এই ফোনে থাকবে উন্নতমানের অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম। যা যৌথভাবে তৈরি করেছে গুগুল এবং জিও। এদিনের সাধারণ সভায় মুকেশ অম্বানি বলেন, অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে জিও এবং গুগলের টিম একটি অত্যাধুনিক স্মার্ট ফোন তৈরি করেছে। যার নাম জিও ফোন নেক্সট। গুগল এবং জিও-তে সাপোর্ট  করে এমন অ্যাপ্লিকেশন থাকবে এই ফোনে।