কুলগাম : বর্ষশেষে জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গিদমন অভিযানে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বড়সড় সাফল্য। অনন্তনাগ ও কুলগাম জেলায় দুটি পৃথক এনকাউন্টারে খতম ৬ জইশ জঙ্গি। নিহতদের মধ্যে দুই পাক জঙ্গিও রয়েছে। জঙ্গিদের গুলিতে আহত এক পুলিশকর্মী। বৃহস্পতিবার একথা জানায় পুলিশ। 


কাশ্মীর পুলিশের আইজি জানিয়েছেন, খতম ছয় জঙ্গির মধ্যে চারজনকে শনাক্ত করা গেছে। এদের মধ্যে দুইজন পাকিস্তানি এবং বাকি দুইজন স্থানীয় জঙ্গি। আরও দুই জঙ্গির পরিচয় জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।


"এটা আমাদের কাছে বড়সড় সাফল্য", বলে আইজিপি কাশ্মীর বিজয় কুমারকে উদ্ধৃত করে ট্যুইট করেছে কাশ্মীর জোন পুলিশ।


 





জানা গেছে, বুধবার কুলগাম(Kulgam) জেলার মিরহামা এলাকায় নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের এনকাউন্টার(Encounter) শুরু হয়। একইদিনে অপর একটি এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটে অনন্তনাগের(Anantnag) দৌরু এলাকার নওগাঁ শাহবাদ এলাকায়।


প্রসঙ্গত, গত অক্টোবর মাসে জম্মু ও কাশ্মীরে পাঁচ জওয়ানের মৃত্যুর বদলা নেয় নিরাপত্তা বাহিনী। সোপিয়ানে এনকাউন্টার চলাকালে খতম করা হয় তিন জঙ্গিকে। তাদের মধ্যে এক জঙ্গি গান্ধেরওয়ালের মুখতার শাহ। এই জঙ্গিই বিহার থেকে আসা এক সব্জি বিক্রেতাকে গুলি করে হত্যা করেছিল।


আরও পড়ুন ; পাঁচ জওয়ানের মৃত্যুর বদলা, সোপিয়ান এনকাউন্টারে খতম তিন জঙ্গি


কাশ্মীর জোন পুলিশ জানায়, সোপিয়ানে গুলি বিনিময়ে যে তিন জঙ্গি মারা যায়, তারা লস্কর-ই-তৈবার সদস্য ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত তিন জঙ্গির কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ সহ আপত্তিজনক সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়।


এর পর নভেম্বর মাসে শ্রীনগরে হাসপাতালে জঙ্গি-পুলিশ গুলির লড়াই হয়। জঙ্গি নেতাকে ধরতে পুলিশের অভিযান, পাল্টা গুলি চলে। শ্রীনগরের বেমিনায় SKIMS হাসপাতালে হামলা হয়। পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ের মধ্যেই পালায় জঙ্গি। 


এরপর ডিসেম্বর মাসে জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu Kashmir) ফের জঙ্গি হানা (terrorists Attacks) হয়। শ্রীনগরের (Srinagar) জিওয়ানে সশস্ত্র পুলিশের বাসে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় জঙ্গিরা। নিহত হন ৩ জন, আহত ১৪ জন পুলিশকর্মী। হামলার দায় স্বীকার করে কাশ্মীর টাইগারস্। জঙ্গি সংগঠন হিসেবে প্রথম এই সংগঠনের নাম প্রকাশ্যে আসে। মোটরসাইকেলে এসে হামলা চালায় জঙ্গিরা, সূত্রের খবর।