নয়াদিল্লি: ন্যাশনাল হেরাল্ড আর্থিক তছরুপ (National Herald Case) মামলায় হাজিরা দিতে দ্বিতীয় বার দিল্লিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (Enforcement Directorate) দফতরে পৌঁছলেন কংগ্রেস (Congress) সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী (Sonia Gandhi)। মেয়ে প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা এবং ছেলে রাহুল গাঁধীর সঙ্গে মঙ্গলবার ইডি-র দফতরে পৌঁছন সনিয়া। শুরুতে সোমবার সনিয়াকে ডেকে পাঠানো হয়। পরে তা পিছিয়ে দেওয়া হয় একদিন।


দিল্লিতে ফের ইডি-র দফতরে হাজিরা সনিয়ার


এর আগে, গত ২১ জুলাই প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে দফায় দফায় সনিয়াকে জেরা করেন তদন্তকারীরা। তার পর এ দিন ফের তলব করা হয় তাঁকে। সনিয়াকে এই জিজ্ঞাসাবাদ ঘিরে তেতে উঠছে রাজধানী। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে সনিয়াকে হেনস্থা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ কংগ্রেস নেতা-কর্মী-সমর্থকদের। এর প্রতিবাদে ‘সংসদ টু সড়ক’ প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দিয়েছেন তাঁরা। মঙ্গলবার বিকেলে সংসদে দেলর দফতরে জরুরি বৈঠক রয়েছে কংগ্রেস সাংসদদের। বিক্ষোভোর আশঙ্কায় এমনিতেই দিল্লিতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে কংগ্রেস সদর দফতরের সামনে। 


ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্রটি অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড (AJL) থেকে প্রকাশিত হত, যার মালিক সংস্থা ছিল ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেড। জওহরলাল নেহরু প্রতিষ্ঠিত ওই সংবাদপত্র নিয়ে আগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলেও,  ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিষয়টি নিয়ে নতুন করে জলঘোলা শুরু হয়, যার মূল হোতা ছিলেন প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। আদালতে তিনি জানান, যে এজেএল সংস্থার হাতে সংবাদপত্রটির মালিকানা ছিল, বাজারে ৯০ কোটি টাকা দেনা ছিল তাদের, যার বেশিরভাগটাই কংগ্রেসের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছিল।


আরও পড়ুন: Viral News: 'আমার স্টার্ট-আপ হিরো', কাকে নিয়ে ট্যুইট শিল্পপতি আনন্দ মাহিন্দ্রার?


আদালতে স্বামী জানান, ২০০৮ সালে সংবাদপত্রটির প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যায়। সেই অবস্থাতেই মাত্র ৫০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে সংস্থাটি অধিগ্রহণ করে কংগ্রেস মালিকানাধীন  ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেড সংস্থা, যার পর ন্যাশনাল হেরাল্ডের কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি ইয়ং ইন্ডিয়ানের দখলে চলে আসে। আবার ৯০ কোটি টাকা উদ্ধারের বাড়তি সুবিধাও।


ন্য়াশনাল হেরাল্ড মামলায় সনিয়াকে বার বার জিজ্ঞাসাবাদ


স্বামীর অভিযোগ, ইয়ং ইন্ডিয়ান সংস্থাটিতে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া এবং রাহুলের ৮৬ শতাংশ টাকার শেয়ার রয়েছে। তা নিয়ে আদালতে স্বামী জানান, নামমাত্র মূল্যে এজেএল তথা ন্যাশনাল হেরাল্ডকে কিনে নিয়ে বিপুল অঙ্কের সম্পত্তির অধিকারী হয়েছে সনিয়া-রাহুলদের সংস্থা ইয়ং ইন্ডিয়ান। দলের টাকাকে নিজেদের ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে রূপান্তর করা হয়েছে।  শুধু সনিয়া-রাহুলের বিরুদ্ধে শুধু নয়, এই মামলায় মতিলাল বোহরা, অস্কার ফার্নান্ডেজ, সুমন দুবে এবং স্যাম পিত্রোদার বিরুদ্ধেও আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। বিপুল টাকার করফঁকির অভিযোগও রয়েছে।