লেহ্: কোর কমান্ডার পর্যায়ের সীমান্ত আলোচনায় কোনও রফাসূত্র বের না হওয়ায় পূর্ব লাদাখে ভারত ও চিনের মধ্যে অচলাবস্থা অব্যাহত বহাল থাকল।
গতকাল, চিন নিয়ন্ত্রিত মল্ডোয় বসেছিল ভারত-চিন ১৩ তম দফার সীমান্ত বৈঠক। দুই সেনার কোর কমান্ডাররা এই বৈঠকে পৌরহিত্য করেন। কিন্তু, আট ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ম্যারাথন বৈঠক চললেও সমাধানসূত্র অধরাই থেকে যায়।
ভারতীয় সেনার তরফে এক বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়েছে যে, বিতর্কিত অঞ্চলগুলির ইস্যুতে সমাধান করার জন্য গঠনমূলক পরামর্শ দিয়েছিল ভারত। কিন্তু চিন তাতে রাজি হয়নি।
সূত্রের খবর, বাফার জোন তৈরি হওয়া প্যানগং সো, গালওয়ান এবং গোগরা থেকে তৃতীয় পর্যায়ের বাহিনী প্রত্যাহার করতে চিনকে জানায় ভারত। অন্যদিকে, একই ধরনের বাফার জোন তৈরি হওয়া হট স্প্রিংস এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহারের জন্য ভারতকে চাপ দেয় চিন।
আরও পড়ুন: ৮ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ম্যারাথন বৈঠক ভারত-চিন সেনাপর্যায়ে
ভারতীয় সেনার এক আধিকারিক জানান, বৈঠক চলাকালীন, ভারতের তরফে, বিতর্কিত অঞ্চলগুলি সমাধান করার জন্য গঠনমূলক পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু চিনা পক্ষ সম্মত ছিল না এবং কোনও সমর্থযোগ্য প্রস্তাবও দিতে পারেনি। যে কারণে, ত্রয়োদশ দফার আলোচনায় কোনও সমাধান বের হয়নি।
ওই আধিকারিক জানান, বৈঠক ভারত সাফ জানিয়েছে যে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চিনের আগ্রাসী মনোভাবের জন্যই স্থিতাবস্থা বিঘ্নিত হয়েছে। বারবার দ্বিপাক্ষিক চুক্তি ভঙ্গ করে সীমান্তকে অশান্ত করেছে চিন।
কিন্তু, বৈঠকে ভারতের দাবিকে "অবাস্তব ও অযৌক্তিক" হিসেবে উল্লেখ করেছে চিন। তারা বলেছে, ভারতের অবাস্তব ও অযৌক্তিক দাবির ফলে এই আলোচনা ভেস্তে গিয়েছে।
লাদাখে প্রকৃত সীমান্তরেখার ওপারে চিন সেনা সংখ্যা বাড়ানোয় উদ্বেগপ্রকাশ করে ভারত। একইসঙ্গে সেনাপ্রধান বুঝিয়ে দেন, চিনকে জবাব দিতে প্রস্তুত ভারতীয় বাহিনী। এই পরিস্থিতিতে লাদাখের রেজিংলায়, সেনাঘাঁটিতে দাঁড়িয়ে বেজিংকে ঘুরিয়ে কড়া বার্তা দেন ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নারাভানে।