নয়া দিল্লি : আট ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ম্যারাথন বৈঠক চলল ভারত-চিন সেনা পর্যায়ে। কর্পস কমান্ডার স্তরে ত্রয়োদশ রাউন্ড এই বৈঠক শুরু হয় সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ। সেনা সূত্রের এমনই খবর। চিনের দিকে মল্ডোয় হয় এই বৈঠক। পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর দুই দেশের সেনার মধ্যে যে উত্তেজনার আবহ রয়েছে তা নিয়েই চলে আলোচনা। 


এর আগে বৃহস্পতিবার ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে আশাপ্রকাশ করে বলা হয়েছিল, পূর্ব লাদাখে বাকি ইস্যুগুলিতে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি ও প্রোটোকল অনুযায়ী যে রেজোলিউশন নেওয়া হয়েছিল, সেই অনুযায়ী কাজ করবে বেজিং। 


সম্প্রতি জানা যায়, লাদাখে প্রকৃত সীমান্তরেখার ওপারে সেনা সংখ্যা বাড়াচ্ছে চিন। এই নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করেও, সেনাপ্রধান বুঝিয়ে দেন, চিনকে জবাব দিতে প্রস্তুত ভারতীয় সেনাবাহিনী। এই পরিস্থিতিতে লাদাখের রেজিংলায়, সেনাঘাঁটিতে দাঁড়িয়ে বেজিংকে ঘুরিয়ে কড়া বার্তা দেন ভারতীয় সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নরবণে। 


আরও পড়ুন ; লাদাখে সীমান্তে ফের সেনা মোতায়েন করছে চিন, জবাব দিতে প্রস্তুত ভারতও, হুঁশিয়ারি সেনাপ্রধানের


গতবছর, ১৫ জুন পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় সেনার ১৪ নম্বর পেট্রোলিং পয়েন্টে চিনা ফৌজের হামলার পর থেকেই লাদাখের পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে ওঠে। এর পর থেকে লাদাখকে ঘিরে লাগাতার দুই দেশের মধ্যে টানাপোড়েন চলছে। তবে লাদাখে চিনা সেনার অনুপ্রবেশ ঠেকাতে তৈরি ভারত সেনা। পূর্ব লাদাখে মোতায়েন করা হয়েছে এম-৭৭৭ ও কে নাইন বজ্র হাউইৎজার কামান। নিয়মিত চলছে মহড়া। এদিকে মহাত্মা গাঁধীর জন্মজয়ন্তীতে লেহ-তে বিশ্বের বৃহত্তম জাতীয় পতাকা ওড়ানো হয়। ২২৫ ফুট দীর্ঘ এবং ১৫০ ফুট প্রস্থের খাদির জাতীয় পতাকার ওজন ১,৪০০ কেজি। 


এক মাস আগে পূর্ব লাদাখের গোগরায় প্যাট্রলিং পয়েন্ট ১৭ এ থেকে সেনা সরিয়েছিল ভারত ও চিন। সরকারি সূত্রে খবর, দু’দেশের আলোচনার ভিত্তিতে যৌথ সম্মতিক্রমে গোগরা থেকে সেনা সরানো হয়। দু’দেশই সেনা সরাতে রাজি হয়।