বেঙ্গালুরু: বাবা-মায়ের কোভিড টিকা নেওয়া থাকলে, স্কুলের পড়ুয়াদের দ্বিগুণ সুবিধা দেওয়া হবে বলে জানাল কর্ণাটকের বেসরকারি স্কুল সংগঠন। বলা হয়েছে, বাবা-মায়ের টিকা নেওয়া থাকলে, সন্তানদের এক্সট্রা কারিক্যুলার অ্যাক্টিভিটিতে অতিরিক্ত চার নম্বর দেওয়া হবে।
কর্ণাটকের প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি স্কুল ম্যানেজমেন্টের সাধারণ সম্পাদক শশী কুমার জানান, বাবা ও মা-- প্রত্যেকের জন্য ২ নম্বর করে পাবে পড়ুয়ারা। তিনি বলেন, আমরা পড়ুয়া ও তাদের অভিভাবকদের ভ্যাকসিনের বিষয়ে উৎসাহিত করতে চাই।
ছাত্রছাত্রীরা যদি তাদের বাবা-মায়ের ওপর ভ্যাকসিন নেওয়ার বিষয়ে চাপসৃষ্টি করে, তাহলে তারা সন্তানের মুখ চেয়ে অন্তত ভ্যাকসিন নেবেন। এতে একটা বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে। তা হলে, স্কুল খুললে সব পড়ুয়া আপাতভাবে নিরাপদ থাকবে। কারণ, তাদের নিকটতম মানুষজনের ভ্যাকসিন নেওয়া থাকবে।
তিনি জানান, বাবা ও মা-- উভয় যদি ভ্যাকসিন নিয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে প্রত্যেকের জন্য ২ নম্বর করে মোট চার নম্বর সন্তানের এক্সট্রা কারিক্যুলার অ্যাক্টিভিটির নম্বরে যুক্ত করা হবে। স্কুলের বিভিন্ন সামাজিক প্রজেক্ট হয়। সেখানে বাড়তি সুবিধা পাবে ছাত্রছাত্রীরা।
শশী কুমার জানান, সংগঠনের এই নির্দেশিকা চার হাজার সদস্য স্কুলকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাবা-মায়ের টিকাককরণের শংসাপত্র স্কুলে জমা করতে হবে ছাত্রছাত্রীদের। তবেই, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ওই নম্বর যুক্ত হবে।
অভিভাবকরাও স্কুল সংগঠনের এই অভিনব উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁদের মতে, সন্তানরা জোর করলে, বাবা-মায়েরা অবশ্যই ভ্যাকসিন নেবেন। এক্ষেত্রে, উভয়ের সুরক্ষা অনেকটা নিশ্চিত হবে।
এর পাশাপাশি, অনেক বেসরকারি স্কুল লটারির ঘোষণাও করেছে। বলা হয়েছে, বাবা-মায়ের ভ্যাকসিন নেওর শংসাপত্র স্কুলে জমা দিলে সেখান থেকে একটি স্লিপ দেওয়া হবে। সেই স্লিপের লটারি হবে। জয়ীদের পুরস্কার দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গত রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের সময়ও একইরকম এক পন্থার প্রয়োগ করেছিল কর্ণাটকের স্কুলগুলি। বলা হয়েছিল, বাব-মায়েরা যদি ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন, তাহলে সন্তানদের বাড়তি নম্বর দেওয়া হবে।