নয়াদিল্লি: হিজাব-মামলায় (hijab) কর্নাটক হাইকোর্টের (karanataka high court) রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে যে মামলা দায়ের হয়েছিল, তা শুনতে রাজি হল সুপ্রিম কোর্ট (supreme court)। প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানা জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহে (next week) উপযুক্ত বেঞ্চের সামনে মামলাটি তালিকাভুক্ত (listing) করা হবে। 


কী বলেছিল কর্নাটক হাইকোর্ট? 


শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরায় নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখে গত মার্চে রায় দিয়েছিল কর্নাটক হাইকোর্ট। বলা হয়েছিল, ইসলাম ধর্মাচরণের সঙ্গে হিজাব পরা অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িচত নয়। আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোনও নির্দিষ্ট পোশাক বিধি বেঁধে দেওয়ার হলে তা ব্যক্তিগত পরিসরে ঢুকে পড়া হয় না। বিচারপতি কৃষ্ণা এস দীক্ষিত এবং বিচারপতি জে এম কাজি বলেন, 'আমরা মনে করি স্কুল ইউনিফর্ম একটি সংবিধানসম্মত এবং যথেষ্ট গ্রহণযোগ্য বিষয়। এট নিয়ে পড়ুয়াদের কোনও আপত্তি থাকতে পারে না।' 


আবেদন সুপ্রিম কোর্টে


কর্নাটক হাইকোর্টের রায়ে বিতর্ক অবশ্য থামেনি। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এই নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যান সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক পড়ুয়া। প্রায় একই সময়ে উদুপি সরকারি কলেজের ছয় ছাত্র জানান, যত ক্ষণ না পর্যন্ত ন্যায়বিচার পাচ্ছেন কলেজে ক্লাস করবেন না।  


ফিরে দেখা...


উল্লেখ্য, গত জানুয়ারিতে হিজাব ঘিরে চরমে উঠেছিল বিতর্ক। উদুপির গভর্নমেন্ট গার্লস পিইউ কলেজে হিজাব পরা ছয় তরুণীকে কলেজে ঢুকতে না  দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। দক্ষিণপন্থী সংগঠনের তরফে এই দাবি ওঠে বলে অভিযোগ করেন ওই তরুণী। বিতর্কের আগুনে ঘি পড়ে ফেব্রুয়ারিতে। উদুপি এবং চিকমাগালুরুর দক্ষিণপন্থী সংগঠনগুলি মুসলিম মেয়েদের হিজাব পরে স্কুল-কলেজে ঢোকায় আপত্তি তোলে। বিবাদ এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে,মুসলিম মেয়েদের হিজাবের পাল্টা গেরুয়া ওড়না পরে কলেজে আসতে দেখা যায় পড়ুয়াদের একাংশকে। বিক্ষোভ হিংসাত্মক আকার ধারণ করে সেখানে। বিক্ষোৎভকারী পড়ুয়াদের টপকে কলেজের ফটকে গেরুয়া পতাকা টাঙিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সেই নিয়ে বচসা থেকে পরস্পরকে লক্ষ্য করে চলে পাথর ছোড়াছুড়ি।


আরও পড়ুন:পূর্ণিমার কটালে উত্তাল সমুদ্র, প্রবল বেগে জল ঢুকছে তাজপুরের পথে-ঘাটে