নয়াদিল্লি: আজ পেগাসাস-মামলার রায় দিতে চলেছে সুপ্রিম কোর্ট। ১৩ সেপ্টেম্বর এই মামলার শুনানি শেষ হয়। সেই থেকে স্থগিত ছিল রায়দান।


স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে ফোন হ্যাক করেছিল কারা?ব্যক্তি স্বাধীনতার পরিসরে হানা দিয়েছিল কারা? বুধবার সেই রায় দিতে চলেছে সুপ্রিম কোর্ট। 


এ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের পর, এবং সংসদের বাদল অধিবেশনের ঠিক আগে, ইজরায়েলি সংস্থা  NSO-র তৈরি স্পাইওয়্যার, পেগাসাস ব্যবহার করে ফোন হ্যাকিংয়ের বিষয়টি সামনে আসে। The Wire সংবাদমাধ্যমের তরফে দাবি করা হয়, হ্যাকারদের নিশানায় ছিলেন রাহুল গান্ধী থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো বিরোধী নেতা। প্রশান্ত কিশোরের মতো ভোট স্ট্র্যাটেজিস্ট।৪০ জনের বেশি সাংবাদিক।সুপ্রিম কোর্টের বর্তমান বিচারপতি।দেশের একাধিক নিরাপত্তা এজেন্সির বর্তমান এবং প্রাক্তন প্রধান।কয়েকজন শিল্পপতি ও সমাজকর্মী।


এরপরই আদালতের নজরদারিতে তদন্তের আবেদন জানিয়ে, একাধিক জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় সুপ্রিম কোর্টে। পেগাসাস প্রস্তুতকারী ইজরায়েলি সংস্থা NSO-র বক্তব্য ছিল, তারা কেবলমাত্র কোনও দেশের সরকার বা সরকারি এজেন্সিকে এই স্পাইওয়্যার বিক্রি করে।


এরপরই বিরোধীরা প্রশ্ন তোলে, তাহলে কি মোদি সরকারই স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে তাদের ওপর নজরদারি চালিয়েছে? কেন্দ্রীয় সরকার অবশ্য সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে দাবি করে, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিষয়টির রাজনীতিকরণ করা হয়েছে। বিরোধী শিবির কিংবা কোনও স্বাধীন প্রতিষ্ঠানের উপর নজরদারির উদ্দেশ্য তাদের নেই। তবে ইজরায়েলি সংস্থা থেকে কেন্দ্র পেগাসাস কিনেছিল কি না, তার উল্লেখ হলফনামায় ছিল না। 


ফোন হ্যাকিংয়ের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে, তদন্ত কমিটি তৈরি করতে রাজি বলে সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছিল কেন্দ্র। কিন্তু, প্রধান বিচারপতি এন ভি রমানা জানিয়ে দেন, পেগাসাসকাণ্ড  নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট নিজেই তদন্ত কমিটি গঠন করবে। 


তবে পাশাপাশি সর্বোচ্চ আদালত এও বলেছিল যে, অনেক বিশেষজ্ঞই রাজনৈতিক কারণে কমিটির সদস্য হতে চাইছেন না। তাই এই কমিটি গড়া সময়সাপেক্ষ।


১৩ সেপ্টেম্বর এই মামলার শুনানি শেষ হয়। তারপর থেকে স্থগিত ছিল রায়দান। আজ  অবশেষে বহু প্রতীক্ষিত পেগাসাস-মামলার রায় দিতে চলেছে সুপ্রিম কোর্ট।