অযোধ্যা: তরুণের(youth) গলা কাটা (throat slit) দেহ (body) ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল অযোধ্যা (ayodhya) জেলার ভুয়াপুর গ্রামে। পুলিশের দাবি, দেহটি গ্রামের হনুমান মন্দির (temple) থেকে উদ্ধার হয়েছে। এর পিছনে কে বা কারা এখনও স্পষ্ট নয়। তরুণের দেহ ময়নাতদন্তে (post mortem)  পাঠিয়েছে উত্তরপ্রদেশ(UP) পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্তও।


খুনের নেপথ্যে কে ?


নিহত তরুণ উত্তরপ্রদেশের আমেঠির শিবরতনগঞ্জের বাসিন্দা। মাসদুয়েক ধরে ভুয়াপুর গ্রামে মামা শিবনারায়ণের বাড়িতে থাকছিলেন। মাঝেমধ্যেই তিনি মামাবাড়ির কাছে ওই মন্দির চত্বরে ঘুমোতেন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। গত রাতেও তাই করেছিলেন। তদন্তকারীদের ধারণা, রাতেই গলা কেটে খুন করা হয় তরুণকে। কিন্তু কেন? ব্যক্তিগত শত্রুতা নাকি অন্য কোনও কারণ রয়েছে এর পিছনে? মামাবাড়িতে মাসদুয়েক ধরে থাকা আমেঠির তরুণকে না হলে কেন খুন হতে হল নৃশংস ভাবে? প্রশ্ন অনেকগুলো। উত্তর খুঁজছে পুলিশ। 


গলা কেটে খুন উদয়পুরে


অযোধ্যার ঘটনা দেখে উদয়পুরের পোশাক নির্মাতা কানহাইয়া লালের পরিণতি আরও একবার মনে পড়ে গিয়েছে অনেকের। হালে কানহাইয়া লালকেও নির্মম ভাবে গলা কেটে খুন করা হয়। সাসপেন্ডেড বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মা বিতর্কিত মন্তব্যের সমর্থন করায় জেরে প্রাণ খোয়াতে হয়েছে, এ কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করে দুই প্রধান অভিযুক্তই। নৃশংস সেই ঘটনার তদন্ত করছে এনআইএ। কানহাইয়া লাল হত্যায় আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন, বিশেষত পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদীদের হাত রয়েছে বলেও জোর জল্পনা। যদিও পাকিস্তানের বিদেশ দফতর সে তত্ত্ব মানেনি। তবে তদন্তকারীদের অনুমান করাচিতে গিয়ে রীতিমতো প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছিল দুই মূল অভিযুক্তের এক জন।
উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যার ঘটনায় অবশ্য় এরকম কোনও তত্ত্বের ইঙ্গিত পুলিশ এখনও পর্যন্ত দেয়নি। কী কারণে খুন হয়ে থাকতে পারে, সেটা নিয়েও মুখে কুলুপ। তবে ঘটনার ভয়াবহতা কানহাইয়া-হত্যার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে অনেককেই।


আরও পড়ুন:বিমান কর্মীর ঘাটতি, দেশ জুড়ে ইন্ডিগোর উড়ানে দেরি