পটনা: বিহারের (Bihar) পটনার (Patna) রাজীবনগরে (Rajeevnagar) উচ্ছেদ অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার। রবিবারে (Sunday) এই ঘটনা নিয়ে রীতিমতো অশান্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। সূত্রের খবর, বিহার স্টেট হাউজিং বোর্ডের ২০ একর জমিতে অবৈধ নির্মাণ করা হয়। যেখানে প্রায় ৭০টি বাড়ি তৈরি করা হয়েছিল।
এরপর সেই সকল অবৈধ বাড়ি ভাঙতে বুলডোজার নিয়ে গেলে পুলিশের সঙ্গে স্থানীয়দের খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায়। পুলিশকে লক্ষ্য করে শুরু হয় পাথরবৃষ্টিও। আহত এসপি, জখম একাধিক পুলিশ কর্মী। রাজীবনগরে এই বেআইনি নির্মাণ ভাঙার কাজ চলাকালীন এমন ঘটনায় অশান্ত হয় গোটা এলাকা। আনা হয় ১৪টি পে লোডার। অশান্তির আশঙ্কায় এলাকায় প্রায় ২ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
প্রশাসন সূত্রে জানান হয়েছে যে এই বাড়ি গুলি ভাঙার আগেই সকল পরিবারকে নোটিস পাঠানো হয়েছিল। যদিও সেই নোটিসের তোয়াক্কা না করেই বসবাস করতে থাকেন বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন, মারাত্মক হারে বাড়ছে করোনা, বুস্টার ডোজে অনীহা রাজ্যে
প্রসঙ্গত, ১৯৭৪ সালে, হাউজিং বোর্ড আবাসিক কমপ্লেক্স নির্মাণের জন্য১০২৪ একর জমি কৃষকদের কাছ থেকে নেয়। সেই সময় প্রতি কৃষকের থেকে ২ একর জমি ক্রয় শুরু করে তাঁরা। কিন্তু অভিযোগ করা হয় যে কৃষকদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে না। এরপরই পুরো বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছয়।
এরপর সুপ্রিম কোর্ট বিহার রাজ্য হাউজিং বোর্ডকে জমি অধিগ্রহণের নির্দেশ দেয় এবং কৃষকদের সুদের সঙ্গে প্রাপ্য ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেয়। যদিও সরকারের তরফে সেই কাজ শুরু না হওয়ায় কৃষকরাই সেই জমি বেসরকারি হাতে বিক্রি করে। সেখান থেকেই শুরু হয় বিতর্ক। এই বিতর্কিত জমিতে রয়েছে IAS এবং IPS অফিসার, বিচারপতি এবং উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিকদের বাড়িও।