মুম্বই: মুম্বই পুলিশের উচ্চপদাধিকারী তিনি। তবে শিল্পপতি মুকেশ অম্বানির বাড়ির বাইরে গাড়ি ভর্তি বিস্ফোরক উদ্ধার ও সেই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত মনসুখ হীরেনের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় আগেই তাঁর নাম জড়িয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছিল মুম্বই পুলিশের অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াড (এটিএস)। মুম্বই পুলিশের সেই সহকারী কমিশনার সচিন ওয়াজকে শনিবার রাতে গ্রেফতার করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)।
শনিবার একটি হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা দিয়েছিলেন সচিন। লিখেছিলেন, ‘এ বার সময় হয়েছে পৃথিবীকে বিদায় জানানোর’। এদিন সকালে নিজের হোয়াটসঅ্যাপ স্টেটাসে সচিন লিখেছিলেন, ‘মনসুখের মৃত্যুর ঘটনায় আমাকে পরিকল্পনা করে ফাঁসানো হয়েছে। ঠিক ১৭ বছর আগে একইভাবে ফাঁসিয়ে দিয়েছিল সিআইডি। এ বার গ্রেফতার করেছে এটিএস। কিন্তু সেই সময়টা অন্য রকমের ছিল। আমার হাতে ১৭ বছর সময় ছিল। নিজের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছিলাম। কিন্তু এবার হাতে আর ফিরে আসার মতো সময় নেই।’
শিল্পপতি মুকেশ অম্বানির বাড়ির বাইরে বিস্ফোরক ভর্তি গাড়ি উদ্ধারের ঘটনার তদন্ত করছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। সচিনের বিরুদ্ধে চক্রান্তে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠার পরেই মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চ থেকে বরখাস্ত করা হয় তাঁকে। থানে আদালতে অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন করেছিলেন সচিন। তবে লাভ হল না।
শনিবার রাত ১১টা ৫০ মিনিটে সচিনকে গ্রেফতার করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। এই ঘটনায় শুক্রবার মনসুখের বাবা বিনোদ ও ছেলে মীতের বয়ান রেকর্ড করেছিল মহারাষ্ট্রের অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াড। মনসুখের পরিবারের অভিযোগ যে, গাড়িটি অম্বানিদের বাড়ির সামনে থেকে উদ্ধার হয়েছিল, সেই গাড়িটি ২০২০ সালের নভেম্বর মাস থেকে ২০২১ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মুম্বই পুলিশের সহকারী কমিশনার সচিন ব্যবহার করেছিলেন। প্রথম থেকেই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন সচিন। ২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি মুম্বইয়ের কারমাইকেল রোড থেকে উদ্ধার হয়েছিল বিস্ফোরক ভর্তি গাড়ি।
অবশেষে তাঁকে গ্রেফতার করল এনআইএ। দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে সচিনকে।