নয়া দিল্লি : দিন দিন দেশে বাড়ছে ওমিক্রন সংক্রমিতের সংখ্যা। এই মুহূর্তে দেশের ১১ রাজ্যে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত ১০১। শুক্রবার একথা জানালেন স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লভ আগরওয়াল। 


এই পরিস্থিতিতে সতর্কতা অবলম্বনের কথা বলা হচ্ছে কেন্দ্রের তরফে। আজ এক সাংবাদিক বৈঠকে আইসিএমআর-এর ডিজি বলরাম ভার্গভ বলেন, এই মুহূর্তে অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ এড়াতে হবে। জমায়েত করা চলবে না। আমরা করোনার অ্যান্টি-ভাইরাল ট্যাবলেট নিয়ে আলোচনা করছি। আমরা দেখতে পেয়েছি যে, এই ওষুধ একদম প্রাথমিক স্তরেই দিতে হবে। রোগের ডায়াগনসিসের আগেই। তবে, এই ওষুধ কতটা উপকারে আসবে সেই সংক্রান্ত বৈজ্ঞানিক নথি এখনও নেই।


 





নীতি আয়োগের সদস্য(স্বাস্থ্য) ভিকে পল বলেন, ইউরোপে করোনা অতিমারীর নতুন ধাপ শুরু হয়েছে। বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। প্রত্যেক নমুনার জেনোম সিক্যুয়েন্সিং সম্ভব নয়। এটা একধরনের নজরদারি। 


আরও পড়ুন ; শীতে ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে ওমিক্রন, সতর্ক করলেন বাইডেন


এদিকে ওমিক্রন (Omicron) নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও (Joe Biden)। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে (USA) ফের বাড়ছে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ। একদিনে ৮৮ হাজারেরও বেশি সংক্রমিত পাওয়া গেছে। একদিনে ১৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আমেরিকার (America) অবস্থাও ক্রমাগত অবনতির দিকে যাচ্ছে। কোভিড মামলা দৈনিক দ্বিগুণ গতিতে বৃদ্ধি হচ্ছে।


এই প্রেক্ষাপটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সংক্রমণ রুখতে অবিলম্বে টিকা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। তা না হলে আমেরিকায় এই শীতে ওমিক্রনে সাংঘাতিক অসুস্থতা আর মৃত্যু হতে পারে যদি ভ্যাকসিন না নেওয়া থাকে। গতকাল এই আশঙ্কাই প্রকাশ করেছেন জো বাইডেন ৷ তিনি বলেন, "আমেরিকাবাসীকে আমি বলতে চাই, যে ধরনের পদক্ষেপ আমরা করেছি, তাতে যত দ্রুত ওমিক্রন ছড়ানোর সম্ভাবনা ছিল, তা হয়নি ৷ যেমনটা এখন ইউরোপে হচ্ছে ৷ কিন্তু এখন এখানেও চলে এসেছে আর ছড়িয়ে পড়ছে ৷ এবার এই সংক্রমণের সংখ্যা বাড়তে চলেছে ৷"