আগরতলা : দু’দিনের সফরে আজ ত্রিপুরায়  অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।    সেখানে বেশ কয়েকটি কর্মসূচিতে তাঁর যোগ দেওয়ার কথা।কিছুক্ষণ আগেই ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় পৌঁছেছেন তিনি। তাঁকে সেখানে স্বাগত জানান রাজ্য তৃণমূলের স্টিয়ারিং কমিটির আহ্বায়ক সুবল ভৌমিক। ছিলেন সাংসদ সুস্মিতা দেবও।  আগরতলায় চতুর্দশ দেবতার মন্দিরে পুজো দিয়ে এবারের ত্রিপুরা সফর শুরু করবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। ইতিমধ্যেই মন্দিরের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। এরপর বড়মুড়া ইকোলজিক্যাল পার্কে আদিবাসী সম্প্রদায়ের সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মধ্যাহ্নভোজ সারবেন তেলিয়ামুড়ায় দলীয় কর্মীর বাড়িতে। বিকেলে আগরতলার বড়দোয়ালিতে আক্রান্ত দলীয় কর্মীর বাড়িতে যাবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। সন্ধেয় আগরতলার একটি হোটেলে দলের স্টিয়ারিং কমিটি ও শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করবেন। বৈঠকে ত্রিপুরায় দলের সাংগঠনিক বিস্তারের রূপরেখা  নিয়ে তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।


পুজো দেওয়ার পর অভিষেক জোরাল ভাষায় আক্রমণ করেছেন   ত্রিপুরার বিপ্লব দেব সরকারকে। তিনি বলেছেন, ‘আমাকে জব্দ করতে গিয়ে দেবতাকেও ছাড়ছে না। ত্রিপুরায় এক ইঞ্চিও জমি ছাড়বে না তৃণমূল। ত্রিপুরায় আনা হয়েছে দুয়ারে গুন্ডা মডেল। রাজনৈতিক ভাবে দেউলিয়া বিপ্লব দেব সরকার। ত্রিপুরা আজ হার্মাদ-উন্মাদদের উল্লাস মঞ্চ।  বিজেপির অপশাসন থেকে ত্রিপুরার মানুষকে মুক্ত করবে তৃণমূল।  ত্রিপুরায় রাস্তাঘাট যেন মরণফাঁদ।  পরিকাঠামোর উন্নয়ন বিন্দুমাত্র হয়নি।  উন্নয়নের মডেলে লড়াই হোক ত্রিপুরায়।  প্রধানমন্ত্রী বলুন দেশের কত উন্নতি হয়েছে।  আমি বাংলার রিপোর্ট কার্ড নিয়ে যাব।  কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে জব্দ করার চেষ্টা চলছে।  শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত লড়াই করব।  বিপ্লব দেব সরকারের শেষের শুরু হয়ে গেছে।  ত্রিপুরার পুরভোটেই প্রধান বিরোধী দল হয়ে উঠেছে তৃণমূল।  শূন্য থেকে শুরু করে ৩ মাসে ত্রিপুরায় ২ নম্বরে তৃণমূল। সারাদেশে এই উদাহরণ আর কোথাও নেই।’


অভিষেকের এই সফরকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেছেন, ত্রিপুরায় তৃণমূলের কী আছে? এত চেষ্টা করেও কী ফল হল, তা তো সবার সামনেই রয়েছে। কী করতে যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়? ওখানকার মানুষ তো বুঝিয়ে দিয়েছেন, এমন পার্টি ত্রিপুরায় চলবে না। করোনার কারণ দেখিয়ে দুয়ারে সরকার প্রকল্প স্থগিত করেছে রাজ্য, আসল কারণ অর্থাভাব। তৃণমূলের উচিত, রাজ্যের উন্নয়নে মনোনিবেশ করা উচিত। 


এর পাল্টা তৃণমূল সাংসদ রায় বলেছেন, দিলীপ ঘোষের খেয়ে-দেয়ে কাজ নেই যে বলছেন, টাকার অভাবে দুয়ারে সরকার প্রকল্প স্থগিত হয়ে গিয়েছে। তাঁর বাস্তব অবস্থা সম্পর্কে কোনও ধারণাই নেই। ভিড়ের কথা মাথায় রেখে করোনা পরিস্থিতিতে দুয়ারে সরকার প্রকল্পের কাজ স্থগিত রাখা হয়েছে।