আগরতলা : ‘বিরোধীদের ত্রিপুরায় কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না, বাংলায় ভয় দেখিয়ে গোহারান হেরেছে বিজেপি। যে সব রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় ছিল, সেখানেই হেরেছে। সংবাদিক বৈঠক করে বললেন মন্ত্রী মলয় ঘটক। আগরতলায় তিনি বলেন, ‘যে অত্যাচার ত্রিপুরায় হচ্ছে, এখানকার মানুষও বিজেপিকে হারাবে’


 


আজ  আগরতলার হোটেলে তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠকের আগে হানা দেয় পুলিশ। তৃণমূলের অভিযোগ, কারা বৈঠক ডেকেছে, কতজন উপস্থিত থাকবেন তা জানতে চাওয়া হয়। দলের সাংগঠনিক বৈঠকের জন্য আগরতলার ওই হোটেলের ব্যাঙ্কোয়েট ভাড়া নেয় তৃণমূল। উপস্থিত থাকার কথা ছিল মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, মলয় ঘটকদের। সেখানেই বৈঠক শুরুর আগে হানা দেয় ত্রিপুরা পুলিশ। 


আজ সকালে আগরতলায় পৌঁছন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ ব্রায়েন। বিজেপির ওপর চাপ বাড়াতে আজ ত্রিপুরায় যাচ্ছেন তৃণমূলের আরেক কাকলি ঘোষ দস্তিদারও। আগামীকাল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আগরতলায় যাচ্ছেন। এর আগে তৃণমূল অভিযোগ করে, ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আই প্যাকের সদস্যদের আগরতলার একটি হোটেলে আটকে রাখা হয়েছে। তার প্রেক্ষিতে গতকাল আগরতলায় পৌঁছয় তৃণমূলের তিন সদস্যের প্রতিনিধিদল।


এরপর একটি সাংবাদিক বৈঠক করে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘জুলুমবাজির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে উঠেছে। নাম অনেক দেখে, এবার ত্রিপুরায় মানুষ কাজ চাইছে। ত্রিপুরার সরকার তৃণমূলকে ভয় পাচ্ছে । সেই সঙ্গে ব্রাত্য আরও বলেন, যেখানে যাচ্ছেন খেলা হবে স্লোগান উঠছে। 


এরপর ডেরেক ও ব্রায়েন বলেন, ‘ত্রিপুরায় কাজে এসেছেন আইপ্যাকের কর্মীরা। দিল্লি থেকে গ্রেফতারির নির্দেশ দেন অমিত শাহ। গুজরাত মডেলে ত্রিপুরা শাসন করছে বিজেপি। পেগাসাস ইস্যুতে সংসদে কথা বলতে চাইছে তৃণমূল, বাধা দিচ্ছে বিজেপি। ফোন ট্যাপিং ইস্যুতে বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘আমরা কি জঙ্গি? তাহলে ১০০ জন পুলিশকর্মী পাঠালো কেন? ‘আমরা কোনও কিছুতেই ভয় পাই না’


তৃণমূলের ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের টিম-কে হোটেলবন্দি করার অভিযোগ ঘিরে সংঘাত চলছিলই। এরপর কোভিড বিধিভঙ্গের অভিযোগে, ১ অগাস্ট, পূর্ব আগরতলা থানায় হাজিরা দিতে বলে টিম পিকে-র সদস্যদের সমন পাঠায় পুলিশ।পূর্ব আগরতলা থানার ওসির দাবি , কোভিড পরীক্ষা না করিয়েই বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা আইপ্যাকের সদস্যরা ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। কোভিড পরীক্ষার পরে তাঁদের মহামারি আইনে তলব করা হয়েছে।  তৃণমূল নেতা ও আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক দাবি করেন, কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট আসার পরও আটকে রাখা হয়েছে আইপ্যাক-কর্মীদের, এ অত্যন্ত অগণতান্ত্রিক।