দিল্লি : অসুস্থতা নিয়ে দিল্লির এইমস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন ছোটা রাজন। অসুস্থতার কারণে গত ২৭ জুলাই তাকে এই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।


এর আগে এপ্রিল মাসে করোনা আক্রান্ত হয়ে দিল্লির এইমস হাসপাতালেই ভর্তি হতে হয়েছিল ছোটা রাজনকে। ২৬ এপ্রিল থেকে সেখানে ভর্তি ছিল রাজেন্দ্র সদাশিব নিকালজে ওরফে ছোটা রাজন। করোনা আক্রান্ত হওয়ায় তার একাধিক অঙ্গ ঠিকভাবে কাজ করছিল না। চিকিৎসায় আশানুরূপ সাড়া দিচ্ছিল না রাজন। এর পর আচমকাই রটে যায় যে, করোনা আক্রান্ত রাজনের মৃত্য হয়েছে। যে খবরে সর্বত্র হইচই পড়ে গিয়েছিল। সংবাদসংস্থা এএনআই-ও সেই খবর ট্যুইট করেছিল। যা জানাজানি হতেই হইচই পড়ে যায়। কিন্তু নাটকের তখনও বাকি ছিল। কিছুক্ষণ পরেই যে হাসপাতালে ছোটা রাজন ভর্তি ছিল, সেই দিল্লির এইমস মৃত্যুর খবর অস্বীকার করে। দিল্লি পুলিশও মৃত্যুর খবর উড়িয়ে দিয়েছিল। সব মিলিয়ে চূড়ান্ত বিভ্রান্তি ছড়িয়েছিল।


প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে ইন্দোনেশিয়া থেকে গ্রেফতার করা হয় রাজনকে। ’ডি-কোম্পানি’র হিট লিস্টে ছিল রাজন। একাধিকবার তাকে হত্যা করার চেষ্টা করেছে দাউদ ইব্রাহিমের ঘনিষ্ঠ তথা অন্যতম সেনাপতি ছোটা শাকিল। করাচি থেকে রাজনের নামে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেছিল দাউদ। ২০১৮ সালে সাংবাদিক জ্যোতির্ময় দে হত্যাকাণ্ডে রাজন-সহ ৯ জন দোষীর যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা শোনায় আদালত। তারপর থেকেই দিল্লির তিহার জেলে রাখা হয়েছিল তাকে। ভিভিআইপি বন্দি। সংশোধনাগারেও সব সময় চর্চার কেন্দ্রে থেকেছে ছোটা রাজন। তার জীবনের পরতে পরতে নাটকীয়তা। একাংশ দাবি করে যে, দাউদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল সাংবাদিক জ্যোতির্ময় দে-র। সেই সন্দেহ করেছিল ছোটা রাজনও। দাউদের নির্দেশেই তার বিরুদ্ধে সংবাদ লিখতেন জ্যোতির্ময়, এমনই সন্দেহ রাজনের মনে দানা বেঁধেছিল। শোনা যায়, জ্যোতির্ময় দে-কে খতম করার নির্দেশ দেয় রাজন। এর পর ২০১৫-য় তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার পর তিহার জেলে।