আগরতলা: ত্রিপুরায় হিংসার অভিযোগের ঘটনা নিয়ে প্রতিবেদনের জন্য দুই মহিলা সাংবাদিক সম্বৃদ্ধি সাকুনিয়া ও স্বর্ণা ঝাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে অবশ্য ত্রিপুরার গোমতী জেলায় একটি আদালতে তাঁদের জামিন মঞ্জুর হয় বলে সংবাদসংস্থা জানিয়েছে।
সাংবাদিক সম্বৃদ্ধি সাকুনিয়া ও স্বর্ণা ঝাকে সোমবার গ্রেফতার করা হয়। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি)-এর এক সমর্থক গত রবিবার ত্রিপুরার ফটিকরয় থানায় এফআইআর দায়ের করেছিলেন। ওই এফআইআরে দুই সাংবাদিকের নাম ছিল। এরই ভিত্তিতে ওই দুই সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হয়। এফআইআরে অভিযোগ করা হয় যে, ওই দুই সাংবাদিকের প্রতিবেদন রাজ্য সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে।
ওই দুই সাংবাদিককে গ্রেফতার করে আদালতে পেশ করা হয়। অ্যাডভোকেট পিযুষ বিশ্বাস বলেছেন, প্রত্যেকের ৭৫ হাজার টাকা বেল বন্ডে দুই মহিলা সাংবাদিকের জামিন মঞ্জুর হয়েছে। আদালত তাঁদের যেখানে অভিযোগ দায়ের হয়েছে, সেই কাকরাবন থানায় হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত শনিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানায় যে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ত্রিপুরায় ক্ষয়ক্ষতি ও ভাঙচুর নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় যে খবর ঘোরাফেরা করছে, তা ভুয়ো। এরপরই ওই দুই মহিলা সাংবাদিককে আটক করা হয়।
কড়া ভাষায় লেখা বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছিল যে, ত্রিপুরার গোমতী জেলার কাকরাবন এলাকায় হিংসা, ভাঙচুর, ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় খবর ঘোরাফেরা করছে। এই সংবাদগুলি একেবারেই ভুয়ো এবং বাস্তব ঘটনার ভুল ব্যাখ্যা।
ওই দুই সাংবাদিকের জামিন প্রসঙ্গে আইনজীবী জানিয়েছেন যে, জামিনের শর্তে বলা হয়েছে, পুলিশ ডাকলে তাঁদের হাজিরা দিতে হবে। আগামীকাল তাঁকে কাকরাবন থানায় হাজিরা দিতে এবং তাঁরা পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করবেন।
রাজ্য পুলিশের এক পদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন যে, ওই দুই সাংবাদিককে পুলিশের বিশেষ একটি দল গ্রেফতার করেছিল। ওই দলকে নিলামবাজার থানায় তাঁদের নিয়ে আসতে পাঠানো হয়েছিল। গতকাল তাঁদের ফিরিয়ে আনা হয়েছিল। প্রাথমিক তদন্তের পর তাঁদের স্থানীয় একটি আদালতে পেশ করা হয়।