আগরতলা: ত্রিপুরায় পুরভোটের আগে আগরতলায় বাম প্রার্থীর বাড়িতে হামলা, প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের জন্য বাম প্রার্থীদের চাপ দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। অভিযোগ, গতকাল রাতে আগরতলা পুরসভার ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডে সিপিএমের প্রার্থী ধনমণি সিংহর বাড়িতে হামলা হয়। পাশাপাশি, ধর্মনগরে সিপিএম প্রার্থী বিমলকৃষ্ণ দাসকে প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের জন্য হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। অন্যদিকে, ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন আগরতলা পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী সোমা ঘোষ দেব। একের পর এক বাম প্রার্থীকে হুমকি ও বাড়িতে হামলার জন্য ত্রিপুরার বিজেপি সরকারকে দায়ী করেছে সিপিএম নেতৃত্ব। এ ধরনের অভিযোগ সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে রাজ্যের শাসক দল বিজেপি বলেছে, অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন।


উল্লেখ্য, ত্রিপুরায়  পুরসভার ভোটের আগে বামফ্রন্ট, তৃণমূল ও টিপরা মোথার মতো বিরোধীদলগুলি শাসক দলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ এনেছে। গত কয়েকদিন ধরেই বিজেপি ক্যাডাররা রাজ্যজুড়ে সন্ত্রাস চালাচ্ছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের।  মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রথম দিন থেকেই শাসক দলের কর্মী-সমর্থকরা বিরোধীদের মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়ার জন্য রিটার্নিং অফিসারদের অফিসও ঘেরাও করেছে বলে অভিযোগ। বুধবার ছিল মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষদিন। কামালপুর,খোওয়াই, মোহনপুর, জিরানিয়া, রানিরবাজার, বিশালগড়, উদয়পুর ও শান্তির বাজারে বিরোধীদের মনোনয়ন পেশে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।  সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক জীতেন্দ্র চৌধুরীর অভিযোগ, জিরানিয়া একজন নির্দল প্রার্থী ও শান্তিরবাজারে ছয় নির্দল প্রার্থী কোনওক্রমে মনোনয়ন জমা দিতে পেরেছেন।  টিপরা মোথার প্রধান প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মার অভিযোগ, শান্তিরবাজারে তাঁরা ছয়টি আসনে লড়াই করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বিজেপি ক্যাডাররা তাঁদের প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করে। 


তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য আহ্বায়ক সুবল ভৌমিকের অভিযোগ, বারেবারে আবেদন সত্ত্বেও রাজ্য নির্বাচন কমিশন  পুলিশ বিরোধীদের মনোনয়ন জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করেনি। পুলিশ সামনেই বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা বিরোধীদের হুমকি দিয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।